Coronavirus

হাত বাড়ালেন তাঁরা...

মাঠে নেমে কাজ করছেন টলিউডের শিল্পীরা। অর্থ ছাড়াও তুলে দিচ্ছেন খাবারসঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী যেমন দুঃস্থ মানুষদের জন্য রেশন জোগানোর বন্দোবস্ত করেছেন।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০১:৩৪
Share:

ইমন-ঊষসী

আর্থিক সাহায্য অনেকেই করছেন। কিন্তু সব সময়ে সেটিও যথেষ্ট নয়। অনেকেরই হয়তো টাকা আছে, কিন্তু বাইরে গিয়ে জিনিস কেনার সামর্থ্য নেই। কোথাও আবার জিনিসই মিলছে না। কেউ দু’বেলার খাবার জোটাতেই দিশেহারা। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাই রাস্তায় নেমেও কাজ করছেন টলিউডের অনেক শিল্পী।

Advertisement

সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী যেমন দুঃস্থ মানুষদের জন্য রেশন জোগানোর বন্দোবস্ত করেছেন। লকডাউনের পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর লিলুয়ার বাড়িতেই রয়েছেন। সেই এলাকার অভাবী মানুষদের চাল-ডাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ইমন। তাঁর নিজস্ব অ্যাকাডেমির একটি ট্রাস্ট আছে। সেখান থেকেই মূলত এই দানের খরচ চালাচ্ছেন। সাহায্য পেয়েছেন সেই ট্রাস্টের বাকিদেরও। এ পর্যন্ত ইমন ৩০০ জনের হাতে রেশন তুলে দিয়েছেন। জানালেন, স্থানীয় প্রশাসনও তাঁকে সাহায্য করেছে। “এই বুধবার আরও কিছু মানুষকে রেশন দেব। এ ভাবে ধাপে ধাপে যতটা পারি করব,” বলছিলেন সঙ্গীতশিল্পী।

টেলিভিশনের পর্দায় তিনি যতই দুর্নাম কুড়োন না কেন, দিন আনি দিন খাই মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জুন আন্টি, ওরফে ঊষসী চক্রবর্তী। যাদবপুর এলাকার দিনমজুরদের দুপুরের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বলছিলেন, “আমাদের পাড়ার কয়েক জন প্রথমে শুরু করেছিল। ওদের দেখে আমিও এগিয়ে এসেছি। চাল-ডাল দেওয়াই যায় কিন্তু রান্না করা খাবার দিলে এই শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন।”

Advertisement

ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকেই টাকা দিয়েছেন ঊষসী। নিজস্ব বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকেও সাহায্য পেয়েছেন। কিছু এলাকাবাসী চাল-ডাল দিয়েছেন। রান্নাও নিজেরাই করছেন, জানালেন তিনি।

রাস্তায় না নামলেও ঘরে বসেই কলকাতা পুলিশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রণাম’-এর হয়ে কাজ করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ‘প্রণাম’-এর হেল্প লাইনে আসা অনুরোধের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি রান্না করা খাবার, রেশন-আনাজ, ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। পরিচালক মূলত কোঅর্ডিনেশনের কাজটা করছেন। তাঁর কথায়, “বিদেশ থেকে কত মানুষ ফোন করছেন। কারও মায়ের ওষুধ প্রয়োজন, কারও রেশন। সেই মতো ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’ শুধু বিদেশ নয়, যাঁরাই সাহায্য চাইছেন, সাধ্যমতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি খাদ্য প্রস্তুত কারক এবং ডেলিভারি সংস্থাকে বাড়িতে বাড়িতে খাবার সাপ্লাইয়ের জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের টেকনিশিয়ানদের জন্যও অর্থ সাহায্য করেছেন অরিন্দম।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement