বিপাকে ‘ধুরন্ধর’। ছবি: সংগৃহীত।
সফল হলেও বিতর্ক পিছু ছা়ড়ছে না ‘ধুরন্ধর’-এর। এ বার কি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে নিষিদ্ধ হতে চলেছে আদিত্য ধর পরিচালিত এই ছবি? পাকিস্তানের লিয়ারি শহরে একসময় গ্যাংস্টারদের মধ্যে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। সেই ঘটনা উঠে এসেছে ছবিতে।
বক্স অফিসে এক সপ্তাহের মধ্যেই ঝড় তুলেছে ‘ধুরন্ধর’। সেই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্কও। এমনকি, পাকিস্তান থেকেও এসেছে ইতিবাচক ও নেচিবাচক দুই প্রতিক্রিয়াই। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এ বার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে চলেছে এই ছবি। বাহরিন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও আরবে এখনও মুক্তি পায়নি ‘ধুরন্ধর’।
আদিত্য ধরের এই ছবি পাকিস্তান-বিরোধী বলে খবর ছড়ায়। অতীতে এই ধরনের ছবি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলিতে মুক্তির অনুমতি পায়নি। আরও জানা গিয়েছে, উল্লিখিত দেশগুলিতে ছবি মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু কোনও দেশেই মেলেনি অনুমতি। শেষ পর্যন্ত আদিত্য ধরের এই ছবি মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগে হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ফাইটার’ও সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি। ছবিতে পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গ ছিল। তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির বক্তব্য ছিল, ‘ফাইটার’ পাকিস্তানকে নেতিবাচক ভঙ্গিতে দেখাতে পারে। সেই জন্যই এই ছবি শেষ পর্যন্ত সেখানে মুক্তি পায়নি। পাকিস্তান-সম্পর্কিত বিষয় থাকার জন্যই অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’ ও জন আব্রাহামের ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে মুক্তি পায়নি। এই একই কারণেই রণবীর সিংহ, অক্ষয় খন্না, অর্জুন রামপাল অভিনীত এই চরিত্র মধ্যপ্রাচ্যে মুক্তি পাচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে।