‘ধুরন্ধর’-এর সঙ্গে ‘অ্যানিম্যাল’-এর তুলনা? ছবি: সংগৃহীত।
এ বার ‘ধুরন্ধর’-এর বিরুদ্ধে উঠল নারীবিদ্বেষী তকমা। আদিত্য ধরের ছবির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উঠেছে নানা রকমের অভিযোগ। কিন্তু এই ছবিকে কোনও ভাবেই ‘নারীবিদ্বেষী’ বলা যায় না। দাবি করেছেন ‘ধুরন্ধর’-এর অভিনেত্রী সৌম্যা টন্ডন।
অক্ষয় খন্না অভিনীত ‘রেহমান বালোচ’-এর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্যা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ‘ধুরন্ধর’কে নারীবিদ্বেষী বলা হচ্ছে? বলতে গিয়ে নাম না করে ‘পাঠান’ ও ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিকেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
এক মহিলা নেটাগরিক সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘‘বলিউডে নতুন ধারা তৈরি হয়েছে পুরুষ অভিনেতাদের মধ্যে। প্রথমে তাদের মধ্যে সারল্য ও নমনীয়তা থাকে। ক্রমশ দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষেরা চুলদাড়ি বাড়িয়ে নেয়। অপরিচ্ছন্ন গুহামানবের মতো দেখতে লাগে তাদের। পৌরুষ প্রদর্শনের নামে এরা শুধুই নারীবিদ্বেষ ছড়ায়। হিংসা ও আগ্রাসন ছড়িয়ে সমাজের সত্যিকারের ভাল পুরুষদের এরা প্রভাবিত করে। তখন সেই প্রভাবিত পুরুষেরাও তখন মহিলাদের ক্ষতি করতে চায়।’’
ওই নেটাগরিক এই পোস্টের সঙ্গে ‘ধুরন্ধর’ থেকে রণবীর সিংহের ছবি জুড়ে দেন। কিন্তু আর এক নেটাগরিক সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানান এই পোস্টে। তিনি লেখেন, “এই ছবির দুই অভিনেত্রীই তাঁদের স্বামীদের গালে সপাটে চড় মারেন। তার উত্তরে কিন্তু স্বামীরা কোনও প্রতিক্রিয়াও দেননি। নিশ্চয়ই এই মহিলা ছবিটা দেখেননি।”
এই মন্তব্যে সম্মতি জানিয়েছেন সৌম্যা। তিনি লেখেন, “আমি সহমত। এই ছবিতে পরিচালক পুরুষশাসিত একটা জগতের কথাই তুলে ধরেছেন। কিন্তু তাও মহিলাদের অবস্থান অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়েছে।”
অন্য ছবির নাম না করেই সৌম্যা আরও বলেন, “এই ছবিতে মহিলাদের মারধরও করা হয়নি, আবার মহিলাদের ‘অবজেক্টিফাই’ করাও হয়নি। অথবা এক পুরুষের একাধিক মহিলাসঙ্গীও দেখানো হয়নি।” নেটাগরিকের অনুমান, এই মন্তব্যের নিশানায় রয়েছে ‘অ্যানিম্যাল’ ও ‘পাঠান’।