অলিম্পিকের মঞ্চে।— ফাইল চিত্র।
হতে পারে তিনি অলিম্পিক পদক জেতেননি। হতে পারে তাঁর কথা দিন কয়েক আগেও কেউ তেমন ভাবে জানতেন না। হতে পারে তাঁর স্ট্রিমে কোনও উল্লেখযোগ্য সিনিয়রের নাম মনে করতে পারছেন না কেউই। হতে পারে তাঁর জন্য এত নিউজপ্রিন্টও যে খরচ হবে, এটা মাস কয়েক আগেও জানা ছিল না।
তাতে কি কিছু যায় আসে? কারণ তাঁর নাম দীপা কর্মকার। চতুর্থ স্থানে থেমে গিয়েছে তাঁর এ বারের অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন। কিন্তু দেশে এখন তাঁর সেলেব স্ট্যাটাস। আর এ হেন কন্যের জীবন যে সেলুলয়েডের পর্দায় বাঁধা হবে তাতে আর আশ্চর্য কী?
কিন্তু একটা শর্ত আছে বস।
শর্ত? হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন শর্ত। আর তা খোদ দীপার।
দেশে ফেরার পর দীপাকে তাঁর বায়োপিকের সম্ভবনার কথা বলা হয়। জানতে চাওয়া হয়, তাঁর ভূমিকায় কোন নায়িকাকে তাঁর পছন্দ? দীপা বলেন, ‘‘আমার ফেভারিট অ্যাকট্রেস ক্যাটরিনা কইফ। কিন্তু যদি বায়োপিক করতেই হয়, যে কেউ করতেই পারেন, শুধু তাঁকে প্রোদুনোভা ভল্টটা ঠিক করে দিতে জানতে হবে।’’
জিমন্যাস্টিক্স ভল্টে প্রোদুনোভা কঠিনতম। হিসাবের সামান্য ভুলে হতে পারে মৃত্যুও। রিও অলিম্পিক্সে বেশ কয়েক জন জিমন্যাস্ট প্রোদুনোভা ভল্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন। সফল ভাবে তা দিতে পেরেছেন একমাত্র দীপাই। তাই এ হেন সফল খেলুড়ের নিজের বায়োপিকের জন্য এই দাবি থাকবে না, তা আবার হয় নাকি?