জিৎ চক্রবর্তী, শানুর আড়ি-ভাব। ছবি: সংগৃহীত।
সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার তিনি আর ফলতার বিডিও শানুর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জিৎ সদ্য শেষ করেছেন তাঁর আগামী ছবি ‘আড়ি’র কাজ। এই ছবি দিয়ে অনেক বছর পরে বাংলা ছবিতে ফিরলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’ ছবিতে। ‘আড়ি’র প্রযোজক যশ-নুসরতের সংস্থা। মৌসুমীর পাশাপাশি তাঁদেরও অভিনয় করতে দেখা যাবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিচালকের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নুসরত। এসেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য, মানসী সেনগুপ্ত, সুমনা দাস প্রমুখ। বিয়ের একপ্রস্ত নিয়ম সেরেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জিৎ জানান, ‘আড়ি’ নয়, ভাবেই থাকতে চান তিনি। প্রশাসনিক পদে রয়েছেন শানু, সংসারেও সেই দিকটিই দেখতে ইচ্ছুক তিনি।
জিৎ-শানুর প্রেম পরিচালকের ‘কথামৃত’ ছবির সেট থেকে। ওই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য। ওই ছবির মূল ভাব ছিল, ‘জীবন আর কিছুই না, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া, বাকিটা বানিয়ে নেওয়া।’ এই মতেই বিশ্বাসী নবদম্পতি। এই বিশ্বাস তাঁদের নতুন বাড়ির দেওয়ালে যত্নে লিখে রাখা আছে, জানিয়েছেন উভয়েই। তাঁদের আরও বিশ্বাস, ঈশ্বর চেয়েছেন বলেই তাঁরা একসঙ্গে পথ চলা শুরু করলেন। ছবির মতোই সংসারের নানা দিক যদি জিৎ পরিচালনা করেন তা হলে তাঁকে সামলাবেন শানু।
জিৎ-শানুর বিয়েতে নুসরত জাহান, অপরাজিতা আঢ্য, মানসী সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
পর্দার বিয়ে আর বাস্তবের বিয়ের মধ্যে অনেক ফারাক! জিৎ কি ভয় পাচ্ছেন?
হবু স্ত্রীর সিঁথিতে তখনও সিঁদুরদান বাকি। জিৎ হাসিমুখে বললেন, “একটু ভয় পাচ্ছি। পর্দার বিয়ে আমার নির্দেশে হয়। আজ সাত পাক। পরের দিন হয়তো সিঁদুরদান। এখানে এক দিনেই সব। সিঁদুর যদি ঠিকমতো পরাতে না পারি, তা হলে কপালে দুঃখ আছে।” যদিও এক বারেই শানুকে নিখুঁত সিঁদুর পরিয়েছেন তিনি। বিয়ে মিটলেই কি কাজ, না কি মধুচন্দ্রিমা? এ বার আক্ষরিক অর্থেই জিৎকে সামলালেন শানু। হেসে বললেন, “আগে মন দিয়ে বিয়ে সারি। তার পর এ বিষয়ে ভাবব। আপনারা জানতে পারবেন।”