Puja Release 2025

বিতর্ক নয়, মৈত্রীর বার্তা দেবে, দাবি নন্দিতার! ‘রক্তবীজ ২’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সহজ করবে?

বাংলাদেশের অভিনেতারা পরিস্থিতির কারণে আগের মতো ভারতে যাতায়াত করতে পারছেন না। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের পুজোর ছবি কি পারবে এই জট কাটাতে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৭
Share:

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন নন্দিতা রায়? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সাল ২০১৭। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আদানপ্রদান রয়েছে। তার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ দুই দেশে ছায়া ফেলেছে। দুই দেশই চাইছে, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক। এক দিকে, রক্তবীজের মতো মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী মুনির আলম এবং তার দলবল। অন্য দিকে, পঙ্কজ সিংহ, সংযুক্তার মতো দুঁদে পুলিশ অফিসারের আপ্রাণ চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদীদের সমূল বিনাশসাধন।

Advertisement

এটাই নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবি ‘রক্তবীজ ২’-এর কাহিনি।

বাস্তবে গত বছর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ শাসনের দায়িত্ব তুলে নেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের আদানপ্রদান প্রায় বন্ধ। যেমন, বাংলাদেশের অভিনেতারা আগের মতো ভারতে এসে কাজ করতে পারছেন না। ‘রক্তবীজ ২’ কি সেই দিক নতুন করে মনে করাবে? না কি ছবির বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করবে? ছবির অন্যতম পরিচালক নন্দিতাকে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

“আমরা কিন্তু বিতর্ক তৈরির ভাবনা থেকে এই ছবি বানাইনি”, সাফ দাবি পরিচালকের। তাঁর মতে, তাঁদের ছবি দুই দেশের মৈত্রী এবং শান্তি ফেরানোর কথাই বলেছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, কী ভাবে সন্ত্রাসবাদ দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পাশাপাশি সুসম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব নষ্ট করে। বাংলাদেশের অভিনেতারা দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে আগের মতো ভারতে যাতায়াত করতে পারছেন না। ফলে, দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান ব্যাহত। নন্দিতা-শিবপ্রসাদের পুজোর ছবি কি পারবে এই জট কাটাতে?

পরিচালকজুটির অন্যতম পরিচালক কিন্তু এই বিষয়েও আশাবাদী। নন্দিতা বলেছেন, “আমাদের ছবি সব সময়ে ইতিবাচক বার্তা দেয়। সেই জায়গা থেকে যদি ‘রক্তবীজ ২’ দুই দেশের সুসম্পর্ক ফেরাতে পারে তা হলে এর থেকে ভাল আর কী হবে?” বিশ্বকর্মাপুজোর দিন মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রচার ঝলক। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, সীমা বিশ্বাস, আবীর চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, কৌশানি মুখোপাধ্যায়— প্রত্যেকে নিজের মতো করে ভাল। তবে তারকাদের ভিড়েও আলাদা করে নজর টেনেছেন অঙ্কুশ হাজরা।

অঙ্কুশ বরাবর কৌতুকধর্মী চরিত্র কিংবা তথাকথিত ‘নায়ক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁকে ‘মুনির আলম’ গড়ে নিয়েছেন কী করে?

প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন নন্দিতা। জানিয়েছেন, অনেক অভিনেতা নিজেকে চেনা ছকে ফেলতে ভালবাসেন। অঙ্কুশ সেটা নন। তাই ‘মাটির তাল’ হয়ে সেটে প্রথম দিন পা রেখেছিলেন। নিজে খুঁটিয়ে চিত্রনাট্য পড়েছেন। শট দেওয়ার আগে পরিচালকদের থেকে তাঁদের চাহিদা বুঝেছেন। তার পর ক্যামেরার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। সম্ভবত তারই ছায়া পড়েছে ছবিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement