বোন ইয়ালিনির ন্যাড়া মাথায় দাদা ইউভানের আদর। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার কেজো দিনেও সকলকে চমকে দিল ইয়ালিনি চক্রবর্তী। তার মুণ্ডিত মস্তকে দাদা ইউভান চক্রবর্তী মনের সুখে হাত বোলাচ্ছে! ব্যাপার কী? রাজ চক্রবর্তী-শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ের বয়স দেড় বছর। “জন্মের পর একবারও ন্যাড়া হয়নি। ফলে, প্রথম চুল এখনও কোনও মন্দিরে দেওয়া হয়নি। খুব শিগগিরিই আমরা উজ্জ্বয়িনী যাব। ইচ্ছা, মহাকাল মন্দিরে ইয়ালিনির চুল দেব। ওই জন্যই ন্যাড়া করালাম।” আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই বললেন পরিচালক। হাসতে হাসতে জানালেন, ন্যাড়া হয়ে নাকি বেজায় খুশি তাঁর মেয়ে। নিজেই নিজের মাথায় হাত বোলাচ্ছে। আর বলছে, “যাহ! নেই নেই।”
সদ্য প্লে স্কুলে ভর্তি হয়েছে রাজের কন্যা। গরমের ছুটি পড়ল নাকি, তাই...? জানতে চাইতেই সায় দিলেন পরিচালক। বললেন, “একেবারেই তাই। এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে দিলাম। এমনিতেই ইয়ালিনি ভীষণ মিশুকে। সারা ক্ষণ মুখে হাসি। মুণ্ডিত মস্তকে যেন জ্যান্ত পুতুল! যে দেখছে সে-ই গাল টিপে আদর করছে। ইউভানও মজা পেয়েছে। সুযোগ পেলেই ঘুরেফিরে বোনের মাথায় হাত বুলোচ্ছে আর হি হি করে হাসছে।” চক্রবর্তী পরিবারে পুজোপাঠের চল রয়েছে। প্রত্যেক কাজেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ চাই তাদের। বাড়িতেও নানা উৎসব পালিত হয়। জগন্নাথদেবের বড় ভক্ত তারা। তাই রাজ-শুভশ্রী ইউভানের চুল দিয়েছিলেন পুরীতে।
ছেলেমেয়ের কথা বলতে বলতে আবেগেতাড়িত ‘সন্তান’ ছবির পরিচালক। জানালেন, দাদা আর বোনের এই ভাব, এই খুনসুটি। “পারুক না পারুক, দাদা যা করবে বোনকেও সেটাই করতে হবে!” বললেন তিনি। দাদাও চোখে হারায় বোনকে। ইয়ালিনি তার কাছে যেন জীবন্ত পুতুল। নিজের খুশিমতো নাড়াচাড়া করে। আবার বোনকে সামলায়ও, দাবি রাজের। এ ভাবেই চোখের সামনে দুই সন্তানের বেড়ে ওঠা উপভোগ করছেন তিনি আর শুভশ্রী। এ কথাও জানাতে ভুললেন না। একই সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা তাঁর, “শুধুই নিজের সন্তান বলে নয়, প্রত্যেকের সন্তান আমার চোখে অত্যন্ত মূল্যবান। তাই ‘ইশ্বরী পাটনি’র মতো শুধুই আমার সন্তান নয়, সকলের সন্তান যেন দুধেভাতে থাকে, মন থেকে এটাই কামনা করি।”