কী ভাবে শব্দকে জব্দ করেন সেলেবরা?

দীপাবলি মানে আলোর রোশনাই। আলো দিয়েই শব্দকে জব্দ করার অনুরোধ জানালেন টলিউডের সেলেব্রিটিরাদীপাবলি মানে আলোর রোশনাই। আলো দিয়েই শব্দকে জব্দ করার অনুরোধ জানালেন টলিউডের সেলেব্রিটিরা

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

ইশা সাহা

এ বছরের মতো উৎসবের মরসুম প্রায় শেষ। বাঙালির হাতে রয়েছে কালীপুজো আর ভাইফোঁটা। দীপাবলিতে চুটিয়ে আনন্দ করতে ছাড়েন না কেউই। বাদ নেই সেলেবরাও। তবে আলোর রোশনাই যেন কারও ক্ষতি না করে সে দিকেও বেশ সচেতন আমাদের টলিউডের সেলেবরা।

Advertisement

ইশা সাহা

এ বারের দীপাবলি কলকাতার বাইরেই কাটাচ্ছেন ইশা। এমনিতেও তিনি বাজি-পটকা থেকে দূরে থাকেন। ‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এর নায়িকা বলছিলেন, ‘‘ছোট থেকেই আমার প্রচণ্ড ভয় শব্দবাজিতে। আলোর বাজিও পোড়াই না। বড়জোর একটা তুবড়ি কি ফুলঝুরি। এই দিন রাস্তাতেও ভয়ের চোটে বেরোই না। এ বার দিন দুয়েকের জন্য কলকাতার বাইরে যাচ্ছি।’’ ইশার কাছে দীপাবলি মানে প্রদীপ দিয়ে বাড়ি সাজানো। ‘‘পুরো বাড়িটা প্রদীপ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়ার কাজটা আমি করি। তবে আমার ভাইয়েরা খুব বাজি পোড়ায়। আমি দূর থেকে দেখি,’’ হাসতে হাসতে বললেন নায়িকা।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুরুঙ্গকে ধরা দিতে নির্দেশ

মিমি চক্রবর্তী

উৎসবে মাততে আপত্তি নেই মিমির। কিন্তু সেই উৎসব যেন অন্যের সমস্যার সৃষ্টি না করে। ‘‘বাজি পোড়ানো নিয়ে আপত্তি নেই, কিন্তু শব্দবাজি না পোড়ালে কি মজা সম্পূর্ণ হয় না,’’ প্রশ্ন মিমির। তাঁর বাড়িতে দুটি পোষ্য, ম্যাক্স আর চিকু। শব্দবাজির তাণ্ডবে তারা অস্থির। যে কারণে মিমি একটি ক্যাম্পেন করেন, যাতে মানুষ খানিকটা সচেতন হন। বলছিলেন, ‘‘রাস্তা-ঘাটে দেখি কুকুরের লেজে ফুলঝুরি বেঁধে দিতে। কতটা অমানবিক হলে এই কাজ কেউ করতে পারে! দীপাবলি বলতে আলোর রোশনাই বুঝি। সকলে যেন সেটা খেয়াল রাখেন, এটাই অনুরোধ।’’

অঙ্কুশ

নায়কের নিজের পোষ্য রয়েছে। তাই অঙ্কুশও শব্দবাজির বিরুদ্ধে। তা হলে কি দীপাবলির উৎসব একেবারেই বন্ধ? ‘‘না, কিছু কাজের জন্য আমি মুম্বই চলে যাচ্ছি। তাই এ বারে আর কোনও পরিকল্পনা নেই,’’ বললেন অঙ্কুশ।

তনুশ্রী

শব্দবাজি থেকে দূরে থাকেন তনুশ্রীও। আলোর বাজিও সে ভাবে পোড়ান না। জিজ্ঞেস করতে বললেন, ‘‘শব্দবাজির মধ্যে আমি নেই। এটা তো আইনত নিষিদ্ধ।’’ তা হলে তনুশ্রীর দীপাবলি সেলিব্রেশন কী ভাবে হয়? হেসে বললেন, ‘‘বাড়িতে রঙ্গোলি দিচ্ছি।’’

মডেল: ইশা, ছবি: সুদীপ্ত চন্দ

মেকআপ: মৈনাক দাস

স্টাইলিং: অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পোশাক: এস্ত্রি, প্রিয়ঙ্কা ভালোটিয়া

জুয়েলারি: হর্ষিতা সুলতানিয়া

লোকেশন: দ্য কনক্লেভ ক্লাব, ভর্দে ভিস্তা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন