‘বাহুবলী’তে তাঁর স্টান্টস দেখে চমৎকৃত হয়েছে বলিউড এবং প্রভাসের ভক্তগণ। আর এ বার ‘সাহো’তে ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে দীর্ঘতম স্টান্টস সিকোয়েন্স শুট করেছেন প্রভাস। দুবাইতে শুটিং হয়েছে ২০ মিনিট দীর্ঘ এই শটের। বুর্জ খালিফা এবং দুবাইয়ের আরও ঝাঁ চকচকে জায়গায় প্রভাসকে চেজ করতে দেখা যাবে।
হলিউডের নামজাদা অ্যাকশন ডিরেক্টর কেন্নি বেটস ‘সাহো’র জন্য তালিম দিচ্ছেন প্রভাসকে। তবে পরিচালক সুজিথের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও ছবিতে কোনও বডি ডাবল ব্যবহার করতে রাজি হননি এই অভিনেতা। সমস্ত স্টান্টস নিজেই করেছেন প্রভাস।
‘বাহুবলী’তে তাঁকে দেখা গিয়েছিল পাহাড়ে চড়তে। আর ‘সাহো’তে তিনি আন্ডার ওয়াটার স্টান্টস দেখাবেন। বডি ডাবলে আপত্তি থাকার কারণে স্কুবা ডাইভিং অবধি শিখে নিয়েছেন প্রভাস।
প্রভাস তো না হয় ছবির হিরো। কিন্তু ভিলেন? ছবিতে ভিলেন হিসেবে দেখা যাবে নীল নিতিন মুকেশকে। ‘ওয়াজির’ ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার পর আর এক বার নীল নিতিন মুকেশকে দেখা যাবে বাহুবলের সঙ্গে টক্কর নিতে। আর ছবি রিলিজের আগে নীল তো ইতিমধ্যে এ-ও বলে দিয়েছেন যে, ‘সাহো’ নাকি ২০১৮-র ব্লক বাস্টার হিট।
প্রভাসের সঙ্গে অনুষ্কা শেট্টিকে ছাড়া যদি দর্শক মেনে না নেন, সে দিকে নজর ছিল ‘সাহো’র প্রযোজকদের। কিন্তু ওজন কমাতে পারবেন না বলে এই ছবিটি না করে দিয়েছেন অনুষ্কা। আর তার পর অনেক অভিনেত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর শ্রদ্ধা কপূরকেই চূড়ান্ত করেন ‘সাহো’র পরিচালক।
‘সাহো’র বাজেট ১৫০ কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যেই এই ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের স্বত্ত্ব বিক্রি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়।
তবে এক জন নয়, ‘সাহো’তে দু’জন ভিলেনকে একসঙ্গে ট্যাকেল করতে হবে প্রভাসকে। নীল নিতিন মুকেশ ছাড়াও মন্দিরা বেদীকেও দেখা যাবে এই ছবিতে ভিলেন হিসেবে।
একটি বা দু’টি নয়, একসঙ্গে তিনটি ভাষায় মুক্তি পাবে ‘সাহো’। তামিল, তেলুগুর সঙ্গে হিন্দিতেও দেখা যাবে ‘সাহো’।
শ্রদ্ধা কপূর, মন্দিরা বেদী, নীল নিতিন মুকেশ তো রয়েছেনই, এ ছাড়াও বলিউডের একঝাঁক তারকা রয়েছেন এই ছবিতে। জ্যাকি শ্রফ, মহেশ মঞ্জরেকর, চাঙ্কি পাণ্ডে এবং টিনু আনন্দদেরও দেখা যাবে এই ছবিতে।