‘হট অ্যান্ড গ্রেসফুল’ বলা হত তাঁকে। পর্দায় তাঁর উপস্থিতিতেই মাত হতেন দর্শকরা। এই নায়িকা এখন কী করছেন জানেন?
আমির খানের সঙ্গে অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া সিনেমায় অভিনয় করাটা তাঁর কাছে অন্যতম স্মরণীয় ছিল বলে বহু বার জানিয়েছেন এই নায়িকা।
দিল্লির সনাতন শিখ পরিবারে জন্ম গ্রেসি সিংহ নামের এই নায়িকার।
স্কুলে থাকতে থাকতেই ভরতনাট্যমে প্রশিক্ষণ। তখন থেকেই নাচের দলের সঙ্গে নানা জায়গায় পারফরম্যান্স শুরু হয় তাঁর।
পরবর্তীতে মডেলিং ও একাধিক বিজ্ঞাপনী ছবিতে কাজ করেন তিনি। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে বাস করা শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে ‘আমানত’ নামের একটি হিন্দি ধারাবাহিকে তিনি প্রথম নজরে আসেন। ২০০১ সালে তার পর অডিশন দেন ‘লগান’ ছবির জন্য।
আমির খানের সঙ্গে তাঁর এই ছবিটি দর্শক ও সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিল।
এর পর সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ও হয় সুপারহিট। ‘আরমান’, ‘গঙ্গাজল’ও মনে দাগ কেটেছিল দর্শকের।
তেলুগু ও মালয়ালম ভাষায় ‘সন্তোষম’, ‘লাউডস্পিকার’, ‘রামা রামা কৃষ্ণা কৃষ্ণা’-সহ একাধিক হিট ফিল্মে কাজ করেন তিনি।
পরবর্তীতে একটি ছবির প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন ছোট পোশাক পরতে সমস্যা থাকায়।
বাংলা ছবি অসীমা-বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ (২০০৭), কন্নড় ছবি (মেঘাবে মেঘাবে)-তেও কাজ করেছেন তিনি।
বিতর্কও জড়িয়ে রয়েছে এই নায়িকাকে ঘিরে। দেশদ্রোহী (২০০৮) ছবির পরিচালককে তিনি নাকি চড় মেরেছিলেন, শোনা যায় এমনটাও।
এর পর মঞ্চে নাটকেও পারফরম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেশের একাধিক পুরস্কার পাওয়া নায়িকা ছবির প্রস্তাব পর পর প্রত্যাখ্যান করতে থাকায় আর মেলেনি তেমন কাজ।
নিজের নাচের দল রয়েছে তাঁর। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন তিনি।
নাচই এই মুহূর্তে একমাত্র ধ্যানজ্ঞান নায়িকার। ইসকনের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন বেশ কয়েকবার। শাস্ত্রীয় নৃত্য নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।