Ekchakra

নারীপাচার চক্রের মুখোমুখি মহিলা পুলিশ অফিসার, কী দেখাবে ‘একচক্র’?

‘একচক্র’ ছবির গল্পটা হচ্ছে বেসিক্যালি উইমেন ট্র্যাফিকিং নিয়ে।

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:১৩
Share:

‘একচক্র’ ছবির একটি দৃশ্য

জোয়া রহমান। পুলিশ অফিসার। কাজের সূত্রে সে গিয়ে পৌঁছয় এক গ্রামে। একে মহিলা অফিসার, তাও আবার এমন এক চক্রের মাঝখানে গিয়ে পড়ে সে, যে চক্র বেশ জটিল। সেখানেই সে মুখোমুখি হয় ঠাকুরের। ঠাকুর এই গ্রামেরই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারপর কী হয়? সেই গল্পই উন্মোচন করবে ‘একচক্র’। জি বাংলা সিনেমা অরিজিনালস্‌-এর এই ফিল্মের গল্প আসলে কেমন?

Advertisement

লেখক ও পরিচালক সঞ্জয় ভট্টাচার্য তাঁর প্রথম ফিল্মেই বেশ বড় এক সমস্যার দিকে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। আগে শর্ট ফিল্ম করেছেন, ওয়েবের জন্য স্ক্রিপ্ট লিখেছেন, রাজ চক্রবর্তীর সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

তিনি গল্প পুরো ভাঙলেন না। কিন্তু ইঙ্গিত দিলেন, “গল্পটা হচ্ছে বেসিক্যালি উইমেন ট্র্যাফিকিং নিয়ে। মহাভারতে একটা গল্প ছিল। পঞ্চপাণ্ডব একটা গ্রামে যায়, যে গ্রাম থেকে প্রতি দিন এক জন করে মানুষ পাঠাতে হয় বকরাক্ষসের কাছে। না পাঠালে বকরাক্ষস লোকজন তুলে নিয়ে যেত। এটাকে আমি মডার্ন ডে-র সঙ্গে লিঙ্ক করেছি। বকরাক্ষসকে ট্রিট করেছি অ্যাজ আ মেন অ্যান্টাগনিস্ট। যে গ্রামে পঞ্চপাণ্ডব গিয়েছিল এবং যে গ্রামে আমাদের গল্পটা, দুটোর নামই এক। দুটোর নামই হচ্ছে একচক্র। তাই ছবিটার নামও ‘একচক্র’।”

Advertisement

আরও পড়ুন: হাসপাতালে অমিতাভ? বিগ-বি’র অসুস্থতা নিয়ে জোর জল্পনা নানা মহলে

ছবিতে এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাশিস রায়

কে কোন চরিত্র করছেন? সঞ্জয় বললেন, “পুলিশ অফিসার জোয়া করেছেন প্রিয়াঙ্কা রতি পাল। ঠাকুর করছেন সুগত রায়। একটা খুব ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার জোয়ার বন্ধু রিপোর্টারের চরিত্রে ইন্দ্রাশিস রায়।”

আপনি নাকি নায়িকার সঙ্গে প্রেম করলেন? সঞ্জয় হাসলেন, “হ্যাঁ। আমাকে বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে। চরিত্রটা যার করার কথা ছিল সে লাস্ট মোমেন্টে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। ফলে নায়িকার বয়ফ্রেন্ডের চরিত্র আমাকেই করতে হল। হা হা... প্ল্যানের বাইরে গিয়ে।”

সুযোগ পেয়ে নায়িকার বয়ফ্রেন্ডের চরিত্রই নিলেন? সঞ্জয়ের জবাব: “হা হা হা... সুযোগ পেলেও কিছু করতে পারব না। আমার তো গার্লফ্রেন্ড আছে। এই চরিত্রের জন্য যাকে সিলেক্ট করা হয়েছিল সে লাস্ট মোমেন্টে ঝুলিয়ে দেওয়াতেই...”

প্রিয়াঙ্কা শেয়ার করলেন, “আমার বয়ফ্রেন্ডের চরিত্রে পরিচালক। এটা নিয়ে খুবই মজা হয়েছে। আমি তো শটের মধ্যেই হেসে ফেলেছি। তার আগে পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে একটা ডিসট্যান্স মেন্টেন করছিলাম। বয়ফ্রেন্ড হওয়াতে ওই জড়তাটা কেটে গেল। অবশ্য শট দিতে গিয়ে আমার থেকেও পরিচালক বেশি হেসেছে।”

ছবির একটি দৃশ্য

আপনার চরিত্রটা গল্পে ঠিক কী করছে? ইন্দ্রাশিস রায় বলেন, “আমার চরিত্রটা বলে দিলে গল্পের ফ্লেভারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভেরি স্পেশাল ক্যারেক্টার ইন দ্য ফিল্ম, ফার্স্ট অব অল। কিছু কিছু গল্পে হয় না, একটা চরিত্রকে দেখে খুব ভাল লাগে, এটাও খানিকটা সেই রকম। দেখলে ভাল লাগবে।”

আরও পড়ুন: করিনা এবং আমি লোকাল ট্রেনেও কলেজে গিয়েছি: করিশ্মা

এই বিষয়টাই বাছলেন কেন? সঞ্জয় ব্যাখ্যা দিলেন, “দেখুন, আমি ভাল থট দিয়ে লোককে ম্যানুপুলেট করতে চাই। এই ফিল্মে সেটা পাওয়া যাবে। অনেকগুলো লেয়ারও পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই বলা উচিত, জি বাংলার সহযোগিতায় এ রকম একটা বিষয় নিয়ে কাজ করা সম্ভব হল।”

দর্শকদের কী বলতে চান? ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করা সুগত রায় বললেন, “উইমেন ট্র্যাফিকিং ভেরি রিয়েল ইসু। আমাদের সমাজে যেটা হচ্ছে সেটাই সিনেমায় দেখানো হচ্ছে। এটা চেঞ্জ হওয়া দরকার। দর্শক ফিল্মটা দেখুন এবং সচেতন হন।”

রবিবার, ২০ অক্টোবর দুপুর ১টায়, জি বাংলা সিনেমা অরিজিনালস্‌-এ দেখা যাবে এই ফিল্ম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন