বাচিকশিল্পী রাজা। নিজস্ব চিত্র।
কবিতা, সুর, তাল, ছন্দ ও অভিনয়। এক মঞ্চে সবটা নিয়ে এলেন বাচিকশিল্পী রাজা। উত্তম মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল থার্ড আই-এর আয়োজনে ‘‘রুমাল, ধুলো, কবিতাগুলো...।’’ অনুষ্ঠানে উঠে আসে সময়— অতীত আর বর্তমান।
দু’টি ভাগ ছিল অনুষ্ঠানের। পাশাপাশি, বিভিন্ন বিভাগে শিলিপীদের সম্মানিত করা হল বুধবারের সন্ধ্যায়। প্রথম অর্ধের অনুষ্ঠানে ছিল বিশেষ বার্তা। রং কী ভাবে মানুষের মধ্যে ক্রমশ বিভাজন নিয়ে আসছে, পরিবেশনার মাধ্যমে সেই বার্তা দেওয়া হয়। রাজার কবিতা প্রতিষ্ঠানের ছোট থেকে বড় সকলে যোগ দেন সেখানে। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে কবীর সুমন, মৌসুমী ভৌমিকের গানে সেজেছিল সেই পরিবেশনা।
দ্বিতীয় অর্ধ জুড়ে ছিল এসরাজ, কি-বোর্ড, কবিতা ও গানের মেলবন্ধন। কবিতা ও গানে ছিলেন রাজা এবং তথাগত মিশ্র ছিলেন এসরাজে। সঙ্গে সাগ্নিক সমাদ্দারের পিয়ানো।
রাজার কথায়, ‘‘এই শহরের গানের, কবিতার এবং অন্য শিল্প জগতের সবার থেকে শিখি। এ এক ছোট্ট প্রচেষ্টা, তার মাধ্যমেই সবাইকে আমার শ্রদ্ধা জানানো।’’
রাজার কবিতার ক্লাস পনেরোয় পৌঁছোল। এবারে এক অন্য ধরনের প্রযোজনা ‘‘ফিরিয়ে দাও আমাদের রঙগুলো,’’ জানান রাজা। সমস্ত ব্যাচের ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে প্রায় ৪০ জনের দলগত প্রচেষ্টায় এক মিথ্যে রূপকথার ছবি ফুটে ওঠে মঞ্চে। লোপামুদ্রা রায়চৌধুরী করেছেন স্ক্রিপ্ট আর আবহ তৈরি করেছেন অনির্বাণ চৌধুরী। আবহ প্রক্ষেপণ করেন আশিস ঘোষ। পরিচালনায় রাজা।