টেলিভিশন থেকে হৃতিক রোশনের নায়িকা, ম্রুণাল ঠাকুর যেন লটারি পেয়েছেন!

ম্রুণাল ঠাকুর ভাগ করে নিলেন তাঁর কেরিয়ারের গল্পছোট পর্দার ‘কুমকুম ভাগ্য’ থেকে এক লাফে ডেমি মুরের সঙ্গে ছবি। তার পর হৃতিক রোশনের সঙ্গে কাজ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪১
Share:

ম্রুণাল ঠাকুর

ছোট পর্দার ‘কুমকুম ভাগ্য’ থেকে এক লাফে ডেমি মুরের সঙ্গে ছবি। তার পর হৃতিক রোশনের সঙ্গে কাজ। ম্রুণাল ঠাকুরের কেরিয়ারের বাঁক দেখলে মনে হবে, তিনি যেন লটারি পেয়েছেন! কিছু দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘লাভ সোনিয়া’। ছবিতে ম্রুণালের কাজ উচ্চ প্রশংসিত। তবে ‘লাভ সোনিয়া’র চেয়ে অভিনেত্রীর হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘সুপার থ্রার্টি’তে কাজ করা নিয়ে বেশি চর্চা চলছে। প্রশ্নটা ম্রুণালকে করতে বললেন, ‘‘আমার ঈশান খট্টরের মতো অবস্থা হয়েছে। ‘ধড়ক’-এর আগে ও ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ করেছিল। কিন্তু সকলেই ‘ধড়ক’ নিয়ে কথা বলছে। আমার কাছে ‘লাভ সোনিয়া’ ভীষণ স্পেশ্যাল একটা ছবি। যাঁরা ছবিটি দেখেছেন তাঁরা সকলেই খুব ভাল বলেছেন। আমি দু’বছর অপেক্ষা করেছি এই দিনটার জন্য। চাইছিলাম, সকলে জানুক আমি বিভিন্ন স্বাদের ছবি করে পারি।’’

Advertisement

টেলিভিশনে ম্রুণাল খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা কি তাঁকে বাড়তি সুবিধে দিয়েছে? ‘‘হ্যাঁ, আর এর জন্য আমি একতা কপূরের কাছে কৃতজ্ঞ। টেলিভিশন আমাকে কনফিডেন্ট বানিয়েছে। তাই ‘লাভ সোনিয়া’তে মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে অভিনয় করার সময়ে একটুও নার্ভাস হইনি,’’ বলছিলেন ম্রুণাল। টেলিভিশন তাঁকে মেকআপ, ক্যামেরা, লাইট, সাউন্ড— সব কিছু শিখিয়েছে। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘কো-স্টার না এলে ক্যামেরার সঙ্গে কী করে প্রেম করতে হয়, যাকে আমরা চিট শট বলি, তা-ও জানি।’’

‘লাভ সোনিয়া’ করার সময়ে কলকাতায় এসে সোনাগাছিতে গিয়েছিলেন ম্রুণাল। সেখানকার বাসিন্দারা কেমন ভাবে কথা বলেন, তাঁদের হাঁটাচলা সব কিছু রপ্ত করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বলছিলেন, ‘‘ওখানে আমাদের দেখে কারও মুখে হাসি ছিল, কারও মুখে অবসাদ। কেউ কেউ সন্দেহের চোখেও দেখছিলেন! ওঁদের সঙ্গে কথা বলে সিনেমাটা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করি। তার পরে ওঁরা অনেক সহজ হলেন।’’ কলকাতা সফরের আর একটি অভিজ্ঞতা নিয়েও উচ্ছ্বসিত ম্রুণাল। তা হল— প্রচুর মিষ্টি দই আর সন্দেশ খাওয়া।

Advertisement

আগামী বছরের গোড়ায় মুক্তি পাবে ‘সুপার থার্টি’। ম্রুণাল নিজে হৃতিক রোশনের বড় ভক্ত। ‘‘যে দিন প্রথম দেখা হয়েছিল বলেছিলাম, আপনার ‘এক পল কা জিনা’তে বন্ধুদের সঙ্গে অনেক বার নেচেছি। শুনে হি ওয়াজ় ব্লাশিং।’’ হৃতিকের নিয়মনিষ্ঠা দেখে মুগ্ধ তিনি। বললেন, ‘‘সকাল ৭টার কলটাইমে ৫টায় উঠে জিমে চলে যেতেন। প্যাকআপের পরে এক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার ২-৩ ঘণ্টা ওয়র্কআউট। আমি খুব ইম্প্রেসড হৃতিককে দেখে। নিউকামারদের আদর্শ উনি। সেটে আমার কাজের প্রশংসা করতেন। আর তাতে খুশি হয়ে আরও ভাল কাজ করার চেষ্টা করতাম আমি।’’

একতা কপূর তাঁর মেন্টরের মতো। ম্রুণালের ফিল্ম কেরিয়ার নিয়ে একতা কী বলছেন?

‘‘একতার হিরোইন হিসেবে আমার পরিচয় কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বুকে পাথর রেখে ‘কুমকুম ভাগ্য’ ছেড়েছিলাম। আজ আমি যা কিছু, সব একতা কপূরের জন্যই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন