Megha Interview

‘বড় পরিচালক, বড় চরিত্রের লোভে কখনও আপস করতে পারব না’, অকপট পিলু

নাচের মঞ্চ থেকে শ্যুটিং ফ্লোর। মছলন্দপুরের মেয়ে মেঘা দাঁ। টালিগঞ্জে পা দিয়ে কতটা বদলে গেল তাঁর জীবন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৫
Share:

মছলন্দপুর থেকে টলিপাড়া—যাত্রা কি মসৃণ ছিল মেঘার? ফাইল-চিত্র

‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চ থেকে ছোট পর্দার নায়িকা। মছলন্দপুরের মেঘা দাঁ এখন টলিপাড়ার 'পিলু'। কেমন এই যাত্রাপথ? গোটা রাস্তা কি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো, নাকি কাঁটাও রয়েছে? আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি পর্দার 'পিলু' ওরফে মেঘা।

Advertisement

প্রশ্ন: এখনও মছলন্দপুর যাওয়া হয়?

মেঘা:হ্যাঁ, যাওয়া হয়। কিন্তু আগের থেকে তুলনায় কম। কারণ মোটে ছুটি পাই না। একটু ফাঁক পেলেই চলে যাই।

Advertisement

প্রশ্ন: আপনার কেন মনে হল, অভিনয়ই নিজের জন্য সঠিক পেশা?

মেঘা: ছোট থেকেই নাচ, গান আমার বড় প্রিয়। 'ডান্স বাংলা ডান্স' চলাকালীন অনেকেই বলেছিলেন, আমার মধ্যে অভিনেত্রী-সুলভ ব্যাপার আছে। বলেছিলেন, এক বার চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কোথায়? তবে জানতাম, রাস্তাটা বড় কঠিন। তাই নাচ নিয়েই থাকতে চেয়েছিলাম। মা-বাবাও খুব বোঝায়। তাই তখন মনে হল, এক বার চেষ্টা করে দেখি। তার পর যা হবে, দেখা যাবে। খেয়ালি ঘোষ দস্তিদারের কাছে ওয়ার্কশপও করেছি।

প্রশ্ন: আপনার পড়াশোনা শেষ?

মেঘা: আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিলাম। কত্থক অনার্স নিয়ে পড়ছি। আর আমার স্কুল ‘মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়’।

প্রশ্ন: রাস্তায় বেরোলে মানুষ চিনতে পারছে?

মেঘা: হ্যাঁ, বেশ অবাকই লাগে। মেট্রোয় করে যাচ্ছিলাম, ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা দিতে। মুখে মাস্ক পরেছিলাম। আমার চোখ দেখে মানুষ বুঝে যাচ্ছেন। মেট্রোয় অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, তুমি ‘পিলু’ না? বেশ ভালই লাগছে।

প্রশ্ন: সাধারণ মানুষের এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অনেক নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। নতুন যাঁরা আসে, অনেক সময় গ্ল্যামার, চাকচিক্যের ভিড়ে হারিয়ে যা, ভুল পথে পা বাড়াএই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে ভয় করেনি?

মেঘা: এত কিছু আমি ভাবিইনি। বরাবরই নিজের জন্য একটা গণ্ডি তৈরি করে রেখেছি। যে গণ্ডি আমি নিজে যেচে কোনও দিন পার করব না। মা-বাবা ছোট থেকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, আমি জানি, যদি সৎ থাকি তা হলে রাস্তা ঠিক খুঁজে পাব। বিপথে কোনও দিন যাব না । বড় পরিচালক, বড় চরিত্রের লোভে কখনও অন্য কিছুর বিনিময়ে আপস করব না।

অকপট মেঘা দাঁ ওরফে পিলু

প্রশ্ন: প্রথম ধারাবাহিকেই নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে, কী ভাবে সামলালেন এগুলো?

মেঘা: এগুলো কেন হয়েছে, আমি সত্যিই জানি না। আমাদের যিনি লেখিকা, রাখিদি... অসম্ভব ভাল লেখেন। এমন একটা গল্প আগে হয়নি। আমাকে যতটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে, আমি তাতে কৃতজ্ঞ। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবতী যে, এমন একটা গল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বাকি কে কী বলল, সত্যিই আমি গুরুত্ব দিই না।

প্রশ্ন: জীবনে বিশেষ কেউ আছে?

মেঘা: না, আপাতত কাজে মন দিতে চাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন