‘কাজের অভাবে পর্দা থেকে সরে ছিলাম, এমনটা নয়’

চার বছর পর ছোট পর্দায় ফিরেছেন ঐন্দ্রিলা সেন। কেরিয়ার, প্রেম ও দীর্ঘ বিরতি নিয়ে কথা বললেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গেচার বছর পর ছোট পর্দায় ফিরেছেন ঐন্দ্রিলা সেন। কেরিয়ার, প্রেম ও দীর্ঘ বিরতি নিয়ে কথা বললেন আনন্দ প্লাসের সঙ্গে

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৮ ০৭:১০
Share:

ঐন্দ্রিলা

প্র: কত দিন পর পর্দায় ফিরছেন?

Advertisement

উ: প্রায় চার বছর।

প্র: এত লম্বা বিরতি কেন?

Advertisement

উ: ‘সাত পাকে বাঁধা’র পর একটা লম্বা বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ২০১৩-য় ‘সাত পাকে বাঁধা’ শেষ হয়। দু’বছর পর যখন ফিরব ভাবি, তখন হঠাৎ করে এক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যান। ওই সময় ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। একটা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। কাজের ক্ষেত্রেও কিছু ক্লিক করছিল না। অনেক কাজ ফাইনাল হয়েও শেষমেশ হয়নি।

প্র: দর্শকের চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হওয়ার ভয় থাকে। সেই ভয় পাননি?

উ: সত্যি কথা বলতে, এই ভয় আমার কোনও দিনই ছিল না। কারণ, অনেক ছোট বয়স থেকে কাজ করছি। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১৪ বছর হল। এই চার বছরেও কাজের অভাব হয়নি। টেলিভিশনের দু’টি বড় বড় চ্যানেল, বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউস, এমনকী বাংলাদেশ থেকেও কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। তবে অফিসে ঘুরে ঘুরে কাজ চাইতে পারি না। নিজের জন্যই পর্দা থেকে দূরে ছিলাম। কাজের জন্য নয়।

প্র: শোনা যাচ্ছিল, আপনি ছবিতে ফিরবেন। কিন্তু ছোট পর্দাতেই ফের কাজ শুরু করলেন...

উ: হ্যাঁ, পীযূষ সাহার একটা ছবি করার কথা ছিল। শুটিংয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু প্রফেশনাল কারণেই সেটা আর হয়নি।

প্র: অঙ্কুশের সঙ্গে মুম্বইও গিয়েছিলেন।

উ: আসলে অঙ্কুশেরই যাওয়ার কথা ছিল। আমিও ওই সময়ে কিছু করছিলাম না বলে গিয়েছিলাম। ওখানে ওয়র্কআউটের ট্রেনিং সিরিয়াসলি করি। আমার বরাবর ওজন ভারী হওয়ার ধাত। আগে ওয়র্কআউট নিয়ে এতটা সচেতন ছিলাম না। সুইমিং জানতাম না। সেটা শিখি। আমাদের জিমেই বরুণ ধবন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, সোনাল চৌহানও ওয়র্কআউট করত। সকলের সঙ্গে বেশ চেনাজানা হয়ে গিয়েছিল। এক দিন জিমে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তখন অঙ্কুশ আর আমাকে খুব সাহায্য করেছিল বরুণ। ও খুব ডাউন
টু আর্থ।

প্র: আর কাজ?

উ: এ সব নিয়েই এত ব্যস্ত থাকতাম, আলাদা করে কাজের কথা হয়নি। তবে এখন মুম্বইয়ে একটু যোগাযোগ হয়েছে। ইচ্ছে আছে, এ বার কাজের দিকটাও ওখানে দেখব।

প্র: এত বছর পর আবার বিক্রমের (চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে কাজ করছেন। বন্ধু বিক্রম না সহকর্মী বিক্রম, কার সঙ্গে কমফর্ট লেভেল বেশি?

উ: দু’জনের সঙ্গেই (হাসি)।আট বছর ধরে ওকে চিনি।
মানুষটা কিন্তু একই আছে। শুধু অভিনয়ের মান আরও উন্নত হয়েছে। এই ধারাবাহিক করার আরও একটা বড় কারণ, বিক্রমের সঙ্গে কাজের সুযোগ।

প্র: একই পেশার মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকা কি অসুবিধের?

উ: কাজ কাজের জায়গায়। আর সম্পর্ক তার জায়গায়। যাদের সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তারা এমন ভাবতেই পারে। পরিচালক-প্রযোজক যদি মনে করেন, কোনও চরিত্রের জন্য আমাকেই নেবেন, সেখানে বয়ফ্রেন্ড বা অন্য কোনও বিষয় গুরুত্ব পায় না। আবার প্রেমিক যদি বড় প্রযোজক হয়, তখন তার ছবিতে নায়িকা হতে তো প্রেমিকার আপত্তিও থাকে না!

প্র: বিয়ে কবে করছেন?

উ: এখন বিয়ের একেবারে কোনও পরিকল্পনা নেই। আর বাবা যাওয়ার পরে দায়িত্ব তো অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন