প্র: রিয়্যালিটি শোয়ের জাজ আপনি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকেও অনেকে জাজ করেন...
উ: একদম ঠিক। বিচারকের পদটা আসলে দু’মুখো সাপের মতো। তাই আমি বিচারকের চেয়ারে বসলেও দর্শকের মতোই মনোভাব রাখি। একই কারণে আমি বাচ্চাদের রিয়্যালিটি শোয়ে কোনও দিন জাজ হব না।
প্র: রিয়্যালিটি শো-কে সকলে খুব নেতিবাচক ভাবেন। আপনার কী মনে হয়?
উ: একটা রিয়্যালিটি শো যে কত জনের রুজি-রোজগার ঠিক করে দেয়, সেটা কেউ দেখে না। স্পটবয় থেকে চা-ওয়ালা সকলেই টাকা রোজগার করেন। আমার মনে হয়, রিয়্যালিটি শো-কে খারাপ চোখে দেখাটা অনুচিত।
প্র: ‘রেস থ্রি’র বিরাট সাফল্যের পরেও আপনাকে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। কী বলবেন?
উ: যদি এতই বাজে ছবি হতো, তা হলে ভারতে ১৮০ কোটি আর সব মিলিয়ে ৩০০ কোটির মুনাফা করাটা সম্ভব হতো? এর উত্তর কারও কাছে আছে? আমার বিরুদ্ধে অনেক নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়েছে। ছবি শুরু হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত এই সব নেতিবাচক কথাবার্তা চলেছে। আমি মানছি যে, সলমনের ছবির যে রকম ব্যবসা করা উচিত ছিল, ততটা করেনি। কিন্তু প্রোডিউসার তাঁর টাকা ফেরত পেয়ে গিয়েছেন। আমি এক জন নির্দেশক হিসেবে এক পা হলেও এগিয়েছি। এর পরে যখন ছবি বানাব, নিজের ভুলত্রুটি শুধরে নিতে পারব।
প্র: নিন্দুকরা এ-ও বলছেন, আপনি অনিল কপূর-সলমন খানের মতো বড় তারকাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। আপনার কী মত?
উ: এটা কিছুটা সত্যি। ওঁদের সঙ্গে কাজ করার সময়ে আমি একটা আলাদা জ়োনে চলে গিয়েছিলাম। ‘রেস থ্রি’র চিত্রনাট্য আমি লিখিনি। এর আগে যত ছবির পরিচালনা করেছি, তার সবই আমার লেখা চিত্রনাট্য ছিল। আমাকে ‘রেস থ্রি’র স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়েছিল পরিচালনা করে দেওয়ার জন্য। সকলের সামনে যখন সেটা পড়া হয়, প্রত্যেকেই বলেছিলেন স্ক্রিপ্ট চমৎকার। তখন মনে হয়েছিল, এতে আমার কাজটাই ভাল হবে।