সলমন খান
প্র: কোন গুণ দেখে আয়ুষ শর্মাকে লঞ্চ করার কথা ভাবলেন?
উ: আমার মতে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা কাজ করতে আসেন, তাঁরা সকলেই ট্যালেন্টেড। এক জন অভিনেতাকে সুপারস্টার বানাতে পারেন দর্শক। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ যখন রিলিজ় করেছিল, তখন ভাবিনি যে এত দূর আমি আসতে পারব!
প্র: নেপোটিজ়ম নিয়ে আপনার কী মত?
উ: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবারের কেউ থাকলেই যদি সকলে অভিনেতা হয়ে যেত, তা হলে আরবাজ এখনও অভিনয় করত। প্রযোজক ও নির্দেশক হিসেবে আরবাজ বেশি সফল। আয়ুষ সম্পর্কে এইটুকু বলতে পারি, ও খুব পরিশ্রমী। আমি সুযোগ না দিলে অন্য কেউ দিত।
প্র: আপনার প্রথম হিট ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র কোনও স্মৃতি শেয়ার করবেন?
উ: সেই সব দিন কি ভোলার! আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। আমার বন্ধু রাকেশের সঙ্গে মিঠুনের (চক্রবর্তী) চেহারার খুব মিল ছিল। তাই ওকে আমি মিঠুন বলে ডাকতাম। ওর সঙ্গে বাইকে চড়ে থিয়েটারে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখতে গিয়েছিলাম। আর ঠিক সেই সময়ে চলছিল ইন্টারভ্যাল। দর্শক আমাকে চিনে ফেলেন। ভিড় জমতে শুরু করে। ব্যস, বাইকে করে আমি আর বন্ধু ধাঁ! আমার ছবির সঙ্গে সানি দেওলের ‘আগ কা গোলা’ও মুক্তি পেয়েছিল। ডিরেক্টর ছিলেন ডেভিড ধওয়ন। আমি ডেভিডের কাছে গিয়েছিলাম আমার ছবির প্রতিক্রিয়া জানতে। ডেভিড বলেছিলেন ‘মেরা গয়া’... তখন ইন্ডাস্ট্রির লোকজন একে অপরের ভাল চাইতেন। এখনকার মতো এত মারকাটারি প্রতিযোগিতা ছিল না।
আয়ুষ
প্র: নবাগতদের কী টিপস দেবেন?
উ: ভাল কাজ করতে হবে। শুধু ছবিতে নয়, অন্য মাধ্যমও আছে যেখানে ভাল কাজ হচ্ছে। টিভি শো করেও অভিনেতারা অনেক বেশি জনপ্রিয় হন। ‘দশ কা দম’-এ টিভি স্টারদের নিয়ে এপিসোডের টিআরপি ছিল সবচেয়ে বেশি।
প্র: আপনার নাম ছবির সঙ্গে জড়ানোয় আয়ুষের উপর কি চাপ তৈরি হয়েছে?
উ: প্রথম দিকে ছবির প্রচারে নিজেকে জড়াইনি। কিন্তু পরে মনে হল অর্পিতা আমার বোন। পরে যেন ও মনে না করে যে, আয়ুষকে সাপোর্ট করলাম না। আমার সম্পর্কে বলা হয় আমি কোনও ছবির পাশে দাঁড়ালে সেটা হিট হয়ে যাবে। আয়ুষ তো আমার পরিবার। তবে একটা কথা, আমি অনেক ছবিতে গান গেয়েছি, নেচেছি। তাও কিন্তু সেই ছবি চলেনি (হেসে)।