Gouri Elo Shooting

সাদা থানে ‘গৌরী’, ঈশানকে হারিয়ে স্তব্ধ ঘোষাল পরিবার, ক্যামেরা থামলেও শোক যেন কাটছে না

সম্প্রতি ঈশান আর গৌরীর রোম্যান্সে মজেছিলেন দর্শক। কিন্তু আচমকা ঈশানের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। এ তো ক্যামেরার সামনের গল্প। ক্যামেরার পিছনের গল্পটা ঠিক কী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩২
Share:

‘গৌরী এল’ সিরিয়ালের ক্যামেরার পিছনের গল্পটা ঠিক কী? — ফাইল চিত্র।

ঘোষাল পরিবারে শোকের ছায়া। বাড়ির ছেলে ঈশানের মৃত্যুর খবর আসা মাত্রই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সবাই। সাদা থানে গৌরীকে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না কেউই। ‘গৌরী এল’ সিরিয়ালে এই মুহূর্তে ক্যামেরার সামনের গল্পটা অনেকট এমনই। ক্যামেরার সামনে সারা ক্ষণ কান্নাকাটির শট দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেলেও মনখারাপের রেশ যেন কাটছে না। ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োর এই মেকআপ ঘরের পরিবেশও খানিকটা থমথমে। আনন্দবাজার অনলাইন শুটিংয়ে পৌঁছতেই সবাই খানিকটা সতেজই হয়ে উঠলেন। সাদা থানে গৌরী। দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সাদা থানে দেখতে একটু অসুবিধাই হয়।

Advertisement

গৌরী বলল, “এই সাদা থানে যেন কিছুই ভাল লাগে না। আমার তো রিল করতেও ভাল লাগছে না তাই।” খোলা চুল, সাদা ব্লাউজ়, সাদা শাড়ি, মুখে মেকআপের লেশমাত্র নেই। এই শট দিতে দিতে ক্যামেরা বন্ধ হলেও বাড়ি পর্যন্ত বয়ে যায় সেই মনখারাপ। সেই একই সুর ঈশানের দিদি নীলার কণ্ঠেও। যে চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রীতমা রায়চৌধুরী। তিনি বললেন, “সত্যিই তাই। আমাদের একটা দৃশ্য ছিল যেখানে আমরা সবাই নিস্তব্ধ। পরিচালক শট নিচ্ছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে একটা হালকা রবীন্দ্রসঙ্গীত। এমন শটে তো কাঁদতে আমরা বাধ্য। আর আমরা তো মেশিন নই যে, ক্যামেরা বন্ধ হলেই চোখের জল শুকিয়ে যাবে।”

যদিও এখন মনখারাপের দৃশ্যের শুটিং চলছে, তবে, এমনিতে নাকি তাঁদের হইহই করে সময় কেটে যায়। ‘গৌরী এল’র সেটে মেয়েদের আর ছেলেদের মেকআপের ঘর আলাদা। তাই বিকেল হলেই সব ছেলে এসে আড্ডা জমায় গৌরীদের ঘরে। ঈশান, যে চরিত্রে দর্শক দেখছেন বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তিনি নাকি গৌরীর সঙ্গে ‘প্র্যাঙ্ক’ করার একটা সুযোগও হাতছাড়া করেন না। গৌরীর কথায়, “আসলে আমি তো সবার থেকে ছোট এখানে। তাই সবাই যেমন মজাও করেন, তেমনই আবার আদরও দেন আমায়। তা ছাড়া শটের ফাঁকে আমায় পড়াশোনাও করতে হয়। কারণ সামনেই মাধ্যমিক।”

Advertisement

গৌরীর রেশ টেনে শ্রীতমা বললেন, “আমাদের মেকআপ রুমটা হল নির্ভেজাল। এখানে কোনও রাজনীতি নেই, পরনিন্দা পরচর্চা নেই, আছে নিখাদ আড্ডা, মজা। আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি। কয়েক দিন বিশ্বরূপ ছিল না। ওর মা-বাবা অসুস্থ ছিলেন বলে চিকিৎসা করাতে বাইরে গিয়েছিল। খুব মিস্ করেছি। আশা করি, এই ভাবে হাসি-মজা করে বাকি দিনগুলো কেটে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন