মর্মান্তিক মৃত্যু সেনিয়া অ্যালেক্সান্ড্রোভার। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী সেনিয়া অ্যালেক্সান্ড্রোভার মর্মান্তিক মৃত্যু। বয়স হয়েছিল তাঁর মাত্র ৩০ বছর। রাশিয়াতে স্বামী টেভর ওবলাস্টের গাড়ি করে সফর করার সময়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের গাড়িটি নাকি মাঝ রাস্তায় একটি হরিণের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। তার পরেই দুর্ঘটনা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। ১২ অগস্ট মাত্র ৩০ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দুর্ঘটনাটি ঘটে ৫ জুলাই। বাড়ি ফিরছিলেন সেনিয়া ও তাঁর স্বামী। চালকের আসনে ছিলেন সেনিয়ার স্বামী। আর তার পাশেই বসেছিলেন প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী নিজে। মাঝ রাস্তায় হরিণের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরেই টাল সামলাতে পারেনি তাঁদের গাড়িটি। শেষ পর্যন্ত উল্টে যায় তাঁদের গাড়ি।
বিধ্বস্ত গাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় বার করে আনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মডেলকে। সেনিয়ার স্বামী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, “মুহূর্তে সব কিছু বদলে গিয়েছিল। এক সেকেন্ডের মধ্যেই সবটা ঘটে যায়। আমার আর কিছু করার ছিল না। ধাক্কা লেগে গাড়ির সামনে এসে পড়ে হরিণটি। আমিও আর সামলাতে পারিনি। ও (সেনিয়া) অচেতন হয়ে পড়ে। ওর মাথা ফেটে গিয়েছিল বীভৎস ভাবে, রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ।”
ওই হরিণটির পা গাড়ির কাচ ভেদ করে এসে ধাক্কা দিয়েছিল সেনিয়ার মাথায়, জানিয়েছেন টেভর। অচেতন অবস্থায় মস্কোর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেনিয়াকে। প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। তাই এক মাস চিকিৎসায় ছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১২ অগস্ট মৃত্যু হয় তাঁর। সেই খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর স্বামী। তিনি নিজেও আহত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব পেয়েছিলেন সেনিয়া। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তিনি যথেষ্ট পরিচিত মুখ ছিলেন।