মনে আছে, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় সলমনের নাম ছিল ‘প্রেম’? সেই সময়ে বলিউডে একটা ‘চকোলেট-ওয়েভ’ চলছিল। পরিচালক সূরজ বরজাতিয়া নায়ককে সেই মোড়কেই উপস্থাপনা করে বাজিমাৎ করেছিলেন। ছেলেমানুষ চেহারায় লাজুক চাহনি হেনে সলমন ১৯৮০-র দশকের শেষ ধাপে সফল হয়েছিলেন। মূল ধারার হিন্দি ছবিতে ফর্মুলার বদল ঘটেছিল সেই সময়। অ্যাকশন-হিরোদের একচেটিয়া বাজারে ভাগ বসাচ্ছেন ‘চকোলেট বয়’ আমির, পেলব সলমন। কিন্তু সেই বাজার তৈরির দিনে কি মনে মনে তাঁরা অন্য কথা ভাবছিলেন? প্রায় তিন দশক পরে তা নিয়ে মুখ খুললেন সলমন।
সেই সময়ে অ্যাকশন হিরো হওয়ার পুরোপুরি ইচ্ছে থাকা সত্বেও তা হতে পারেননি কেবলমাত্র ওই ‘ছেলেমানুষ’ চেহারার কারণেই। তখন অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করতে গেলে লোকে অবধারিতভাবে বলত, অমিতাভ বচ্চন হওয়ার সাধ জেগেছে ছোকরার! সেই বাসনা বুকে চেপে ‘চুলবুল পাণ্ডে’ অথবা ‘ডেভিল’ হয়ে উঠতে কম-বেশি দু’দশক লেগে গিয়েছে। সলমনের মতে, তাঁর ঠিক আগের ব্যাচের হিরোরাই ছিলেন দারুণ ম্যাচো। সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফ অথবা সঞ্জয় দত্তের পাশে তাঁদের বালক-সুলভই দেখাত। সেই সময়ে ইন্সপেক্টর, দুঁদে উকিল, পাড়ার মস্তান-জাতীয় চরিত্রে অবতীর্ণ হওয়া অসম্ভব ছিল। রোম্যান্টিক নায়ক থেকে কমেডি হয়ে পৌঁছতে হয়েছে অ্যাকশনের প্ল্যাটফর্মে। এই ‘হয়ে ওঠা’-র পিছনে দর্শকের ভূমিকা বিরাট। তাঁদের চাহিদাতেই তিনি ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ভূমিকায় সাবলীল হয়ে উঠেছেন— অকপটে জানালেন ‘দাবাং’ সলমন।