Gajraj Rao

পকেটে মোটে ৬ টাকা! বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরবেন, না খাবার কিনবেন, বুঝতে পারতেন না গজরাজ

পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় গজরাজের, যখন প্রতি দিন লড়াই করতে হত। পকেটে মাত্র ৬ টাকা নিয়েও চালিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫৬
Share:

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতের বিভীষিকা নিয়ে মুখ খুললেন গজরাজ রাও।

‘বধাই হো’ এবং ‘শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান’ ছবিতে তাঁর উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করেছিল। তার পর থেকেই জনপ্রিয় মুখ গজরাজ রাও। এখন তাঁর নাম-যশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে শুরুর দিনগুলো কিছুতেই ভুলতে পারেন না অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতের বিভীষিকা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

Advertisement

‘মজা মা’-র অভিনেতা বলেন, “মুম্বই আসার আগে আমি এ শহর ও শহর ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াতাম। পাগলের মতো কাজ খুঁজে গিয়েছি। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে এক মাস ছিলাম। ওখানেই একটা চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। আমার কাছে তখন এক পয়সাও ছিল না।”

গজরাজ এর পর সেই চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরে বেড়ান আন্ধেরি থেকে ওরলি। কিন্তু প্রযোজকরা ফিরিয়ে দেন। সে সময় পকেটে অবশিষ্ট মোটে পাঁচ থেকে ছ'টাকা। অভিনেতা বলে চলেন, “জানতাম না, ওইটুকু টাকা নিয়ে কী করব। লোকাল ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরে যাব? নাকি সেই ৬ টাকা দিয়ে কিছু কিনে খাব? কিন্তু আমি মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম, স্ক্রিপ্টটা এক দিন ঠিক কারও পছন্দ হবে। আমায় অ্যাডভান্স টাকা দেবে। সেই দিন আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল।’

Advertisement

বাড়ি ফেরার জন্য সে দিন বন্ধুর কাছ থেকেই টাকা ধার করেন অভিনেতা। যদিও চাইতে লজ্জায় মরছিলেন। সব খুলে বলায় বন্ধু তাঁকে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। সে সময় অঙ্কটা নেহাত কম নয়। তবে একটা জিনিস শিখেছিলেন গজরাজ। মানুষ কথা দিয়েও কথা রাখে না। তাঁকে যে প্রযোজক আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, “চিন্তা কোরো না,” তিনিই কথা রাখেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন