মা হলেন ‘হীরামান্ডি’র আলমজেব। ছবি: সংগৃহীত।
‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজ়ে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শার্মিন সেহগলকে। বড় পর্দার পরিচিত মুখ নন তিনি, তবে তাঁর পারিবারিক কৌলিন্য রীতিমতো সমীহ করার মতো। মামা খোদ সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। মা বেলা সেহগল হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সম্পাদক। ‘দেবদাস’, ‘ব্ল্যাক’, ‘খামোশি’ মতো ছবির সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর মেয়ের পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয় মামার হাত ধরেই। কিন্তু সিরিজ়টি মুক্তির পর থেকেই ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে শার্মিনকে।
এই সিরিজ় মুক্তির পরই বিয়ে করে নেন শর্মিন। গত বছর নভেম্বর মাসে শিল্পপতি অমন মেহতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। তার পর মুম্বই ছেড়ে অহমদাবাদে থাকতেন। বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মা হলেন ভন্সালী ভাগ্নি।
হীরামান্ডি’ সিরিজ়ের সমালোচনার পর আর কোনও ছবি কিংবা সিরিজ়ে দেখা যায়নি তাঁকে। খানিক যেন নিজেকে গুটিয়ে নেন। এমনকি তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা, সে বিষয়ে কাউকে কিছু জানননি। তবে শোনা যাচ্ছে, গত ২৮ মে মুম্বইয়ে নাকি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শর্মিন। যদিও তিনি বা তাঁর স্বামী কেউই এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। শর্মিনের স্বামী অমন ৫৩,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী। ‘টোরেন্ট ফার্মাসিউটিকল’ হল অমন মেহতার পারিবারিক ব্যবসা। এ ছাড়াও এই কোম্পানিরই ছাতার তলায় রয়েছে ‘টোরেন্ট পাওয়ার’, ‘টোরেন্ট গ্যাস’, ‘টোরেন্ট কেবল’-এর মতো ব্যবসা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অমনের বাবা সুধীর মেহতা। যদিও এই মুহূর্তে ব্যবসার যাবতীয় দেখাশোনা করেন অমনই। অমন বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্থনীতিতে স্নাতক। তার পর ‘কলোম্বিয়া বিজ়নেস স্কুল’ থেকে এমবিএ করেছেন।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য শার্মিন নিজেও নিউইয়র্কে চলে যান। সেখানে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয়ের সঙ্গে ছবির সেটে উপস্থিত থাকতেন শার্মিন।