Bollywood Gossip

অন্য নারীকে পর্দায় চুম্বন স্বামী ধর্মেন্দ্রর, ‘শোধ’ তুলতে কী ঠিক করলেন হেমা?

কর্ণ জোহর পরিচালিত ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে নজর কেড়েছে শাবানা ও ধর্মেন্দ্রর সমীকরণও। শাবানার সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর চুম্বনের দৃশ্য নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) ‘রকি অউর রানি...’-তে ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজ়মি। হেমা মালিনী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

গত ২৮ জুলাই কর্ণ জোহর পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবি মুক্তির পর থেকে তাঁদের জুটি নিয়ে আলোচনা থামছেই না। ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজ়মি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে আলিয়া ভট্ট ও রণবীর সিংহ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র, জয়া বচ্চন, শাবানা আজ়মি, বাঙালি অভিনেতা চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় ও টোটা রায়চৌধুরী। ছবিতে আলিয়া ও রণবীরের রসায়ন তো নজর কেড়েছে বটেই। পাশাপাশি, চোখে পড়েছে বর্ষীয়ান তারকা ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজ়মির সম্পর্কের সমীকরণও। পর্দায় তাঁদের চুম্বন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। ৮৭ বছর বয়সে এসে ক্যামেরার সামনে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। স্বামীকে পর্দায় অন্য নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখে হয়তো গোসা করবেন স্ত্রী হেমা মালিনী, এমন ধারণা ছিল অনেকেরই। সেকালের অভিনেতা-অভিনেত্রী বলে কথা, পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে তাঁরা বিশেষ অভ্যস্ত নন। তবে তেমন কিছু ঘটেনি। বরং ধর্মেন্দ্রকে এত দিন পরে পর্দায় দেখে খুশিই হয়েছেন হেমা। শাবানার সঙ্গে তাঁর চুম্বনের দৃশ্যেরও প্রশংসা করেছেন মন খুলে। তবে এ বার নিজের জীবনে এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’। কী সেই সিদ্ধান্ত?

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্র ও শাবানা অভিনীত ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের বিষয়ে। হেমা বলেছিলেন, ‘‘ছবির প্রিমিয়ারে আমার যাওয়ার সময় হয়নি। তবে আমি সবার থেকে শুনেছি যে, ছবিটা খুব ভাল হয়েছে। ধরমজিরও অনেক প্রশংসা শুনেছি। ওঁর জন্য ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। এই ছবিতে কাজ করে ওঁরও খুব ভাল লেগেছে।’’ সম্প্রতি আরও এক সাক্ষাৎকারে হেমাকে প্রশ্ন করা হয়, সুযোগ পেলে তিনি কি পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে প্রস্তুত? হেমার চটজলদি উত্তর, ‘‘কেন করব না! অবশ্যই করব! যদি চিত্রনাট্য ভাল হয়, তা হলে আমার কোনও অসুবিধা নেই।’’ হেমার মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, ধর্মেন্দ্রর ওই দৃশ্যে অভিনয় করার পরে নিজের পেশাগত জীবনে তিনিও আরও সাহসী হতে প্রস্তুত।

দেওল পরিবারের গোঁড়ামি নিয়ে বলিপাড়ায় কানাঘুষো কম নেই। একই পরিবারের সন্তান হয়েও সানি দেওল যে ছাড় পেয়েছেন, এষা দেওল তা পাননি। এমনকি, সিনেমার পর্দায় চরিত্রের খাতিরে সাঁতারপোশাক পরার অনুমতি পাওয়া নিয়েও কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি এষাকে। সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য হয়ে হেমার এই সিদ্ধান্ত যে বেশ সাহসী, তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন