এইচআইভি পজিটিভ হলেও অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গম, স্বীকারোক্তি চার্লি শিনের

‘আমি এইচআইভি পজিটিভ’— নির্লিপ্ত মুখে বললেন চার্লি শিন। সেই সঙ্গে ভক্তদের কাছে উগরে দিলেন নিজের গোপনতম বেদনার কথাও। মঙ্গলবার এনবিসি-র টুডে শো-তে বসে তাঁর স্বীকারোক্তি, “আমাকে ঘিরে রোজকার এই আক্রমণ, এই অর্ধসত্য খুবই ক্ষতিকারক… এ ধরনের গল্পে আমার চারপাশের মানুষের উপরও প্রভাব পড়ছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ২২:১৫
Share:

‘আমি এইচআইভি পজিটিভ’— নির্লিপ্ত মুখে বললেন চার্লি শিন। সেই সঙ্গে ভক্তদের কাছে উগরে দিলেন নিজের গোপনতম বেদনার কথাও। মঙ্গলবার এনবিসি-র টুডে শো-তে বসে তাঁর স্বীকারোক্তি, “আমাকে ঘিরে রোজকার এই আক্রমণ, এই অর্ধসত্য খুবই ক্ষতিকারক… এ ধরনের গল্পে আমার চারপাশের মানুষের উপরও প্রভাব পড়ছে।”

Advertisement

হলিউড অভিনেতা চার্লি শিনের সমার্থক শব্দটি বোধহয় বিতর্ক। কিংবদন্তি অভিনেতা মার্টিন শিনের ছেলের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল হলিউডের বেশ কয়েকটি নামজাদা ফিল্মে। কিন্তু, খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের অনিয়ন্ত্রিত রঙিন জীবন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। ‘প্ল্যাটুন’, ‘ওয়াল স্ট্রিট’, ‘মেজর লিগ’, ‘মানি টকস’ বা ‘বিইং জন ম্যালকোভিচ’-এর মতো বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া ছবিতে এক সময় হলিউড কাঁপালেও তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশই নীচের দিকে নামতে থাকে। ফের সাফল্যের মুখ দেখেন টেলি-সিরিজে। তবে তাতেও ফের ভাটার টান আসে ২০১১-তে। জনপ্রিয় সিটকমের ‘টু অ্যান্ড আ হাফ মেন’-এ নির্মাতার সমালোচনা করে সেখান থেকেও বাদ পড়েন। গোল্ডেন গ্লোব জয়ী অভিনেতার শেষের বোধহয় সেই শুরু। তবে এর পরেও অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। সঙ্গী হিসেবে একাধিক পর্নস্টারদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছেন তাঁর। এক সময় তো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, দু’জন পর্নস্টারের সঙ্গে একই ছাদের নীচে লিভ-ইন করছেন তিনি।

এহেন চার্লির এইচআইভি পজিটিভ হওয়া নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে বহু দিন ধরেই। কিন্তু, তা কখনই স্বীকার করেননি তিনি। এ দিন অবশ্য বলেন, “মোটামুটি বছর চারেক আগে এটা জানতে পারি। তিন অক্ষরগুলি (এইচআইভি) হজম করা সত্যিই কষ্টকর।”

Advertisement

তবে এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার পরেও নিয়মিত অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গম করেছেন বলে এ দিন জানিয়েছেন চার্লি। আর এতে নাকি ওই রোগ ছড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো দু’জন মাত্র যৌনকর্মীর দেহে। চার্লির দাবি, ওই ঘটনা ছাড়া প্রায় প্রতিটি সঙ্গীকেই তিনি নিজের এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর এক জন নাকি তাঁকে ওষুধ খেতে দেখে ছবি তুলে রাখেন। এর পর শুরু হয় তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা। সে দিনগুলিতে নিজেকে যেন খাঁচায় বন্দি মনে হত তাঁর। এ দিন সে কথা জানিয়ে চার্লি বলেন, “আজ আমি নিজেকে সেই বন্দিদশা থেকে মুক্ত করলাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement