যে কারণে বাবা রাকেশকেও পাশে পাচ্ছেন না হৃতিক। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউডের সুপারহিরোর ভিড়ে বলিউডের নিজস্ব সুপারহিরো হিসাবে হাজির হয়েছিলেন হৃতিক রোশন। তবে দর্শক ও অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া জাগানোর পরেও প্রায় অনিশ্চিত ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ভবিষ্যৎ। চলতি বছরের প্রথম দিকে ‘কৃশ ৪’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল বটে। হৃতিকের বাবা পরিচালক রাকেশ রোশন গত বছর জানিয়েছিলেন ‘কৃশ ৪’ হবেই। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যেন কথার খেলাপ করছেন তিনি! ছবির জন্য বাজেট নির্ধারণ করেছেন নাকি ৭০০ কোটি। তাতেই নাকি বেঁকে বসছেন প্রযোজকেরা। কেউই প্রায় রাজি হচ্ছেন না। রাকেশ জানিয়েছেন, এই ছবি হলেও পরিচালনা তিনি করবেন না। নতুন প্রজন্মের হাতে নাকি ‘ব্যাটন’ তুলে দিতে চাইছেন। যদিও নিন্দকেরা বলছেন অন্য কথা।
২০০৩ সাল থেকে সূচনা হয়েছিল কৃশ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির। প্রথম ছবি ‘কোয়ি...মিল গয়া’। তার পর ২০০৬ সালে ‘কৃশ’ ও ২০১৩ সালে ‘কৃশ ৩’। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সব ছবিই বক্স অফিসে কমবেশি সফল। তবু ‘কৃশ ৪’-এর বাণিজ্যিক সাফল্য অনিশ্চিত। মার্ভেল দাপটের যুগে আদৌ পর্দায় কোনও কামাল দেখাতে পারবেন বলিউডের সুপারহিরো! তা নিয়ে নিশ্চিত নন নির্মাতারাই। তার উপর এই বিপুল অঙ্কের বাজেট। যদিও সূত্রের খবর, বাজেটের অর্থ পুরোপুরি ৭০০ কোটি না হলেও তার ধারে কাছেই রয়েছে।
এ দিকে প্রায় ১২ বছরের বিরতির পর এই ছবির সিক্যুয়েল আদৌ কোনও কামাল করতে পারবে কি না সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে সকলেরই। সেই কারণেই নাকি পরিচালকের আসন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন রাকেশ। শোনা গিয়েছিল, রাকেশের বদলে ১০০ কোটি ক্লাবের পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের উপর ভরসা রাখছিলেন সকলে। কিন্তু পিছু হটছেন সিদ্ধার্থও। এই ধরনের ছবি করতে যে ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োজন তা নেই প্রযোজকের কাছে। সেই সীমাবদ্ধতার কারণেই ছবি তৈরিতে সমস্যা হবে। তবে খবর, প্রযুক্তিগত কারণে নয়, আর্থিক অনটনের জেরেই নাকি আটকে রয়েছে ছবি। তাই ‘কৃশ ৪’-এর ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে।