ভক্তরা তাঁর অভিনয় নিয়ে সামান্য খারাপ কথাও সহ্য করতে পারেন না! সমালোচকরা নানা চুলচেরা বিশ্লেষণের পরেও তাঁর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন সেরার শিরোপা! কিন্তু, স্কুলে পড়ার সময়ে শিক্ষকেরা যে তাঁর অভিনয় প্রতিভাকে এতটুকুও স্বীকৃতি দেননি, সে কথা এতদিনে মুখ ফুটে বের হল রণবীর কপূরের!
কর্ণ জোহরের ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশিকল’-এর শুটিং বাতিল করে রণবীর সদ্য ফিরেছেন মুম্বইতে। বাড়ির সকলে বেজায় খুশি! দীপাবলীর সময়ে ঘরের ছেলে ঘরেই থাকবে! তার আগে তাই যতটা পারছেন ইমতিয়াজ আলির ‘তামাশা’ ছবির প্রচারের কাজটা সেরে নিতে চাইছেন নায়ক। সেই উপলক্ষেই দীপিকা পাড়ুকোন আর ইমতিয়াজের সঙ্গে তাঁকে দেখা গেল মুম্বইয়ের পৃথ্বী থিয়েটারে। আর সেখানেই স্কুল-জীবনের এই গোপন কথাটা সবাইকে জানালেন রণবীর!
আচমকা কেন স্কুল-জীবনের স্মৃতিতে ফিরে গেলেন তিনি? কারণ হলেন দীপিকা পাড়ুকোন! পৃথ্বী থিয়েটারে পা দিয়েই বেশ উচ্ছ্বল মেজাজে চলে গিয়েছিলেন দীপিকা! নিজে মুখেই নায়িকা জানিয়েছেন কারণটা। বলেছেন, “আজ আমার একটা স্বপ্ন সত্যি হল! অনেক দিন ধরে ভেবে রেখেছিলাম রণবীর আর ইমতিয়াজের সঙ্গে এখানে নাটক দেখতে আসব! সেটা আর হয়ে ওঠেনি ঠিকই, তবে আজ ছবির প্রচারে সেই তিন জনে মিলেই তো আসাটা হয়ে গেল!”
এর ঠিক পরেই ছিল রণবীরের কিছু বলার পালা! তাঁর প্রপিতামহের নামাঙ্কিত থিয়েটার নিয়ে তিনি যে কিছু বলবেন, সবাই সেটা ধরেই রেখেছিলেন। রণবীর কিন্তু সে দিকে গেলেন না! বদলে তিনি বললেন এই পৃথ্বী থিয়েটারেই তাঁর স্কুল-জীবনে অভিনয় করার কথা। আর জানালেন, স্কুলের নাটকে সব সময়েই হয় গাছ, নয় তো দরজা সেজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতেন তিনি!
“আমি খুব একটা ভাল ইংরেজি বলতে পারতাম না! তাই স্কুলে নাটকে আমায় কোনও রোল দেওয়া হত না! সব সময়েই হয় গাছ, নয় দরজা সাজতে হত”, বলছেন রণবীর!