Sohini Sarkar

Sohini Sarkar: জন্মদিনে রণজয়ের থেকে কী উপহার পেলি? কৌতূহলী জয়জিতের প্রশ্নে লাজে রাঙা সোহিনী

প্রশ্ন শুনেই পরনের লাল শাড়ির আভা ছড়িয়ে পড়েছে ‘সত্যবতী’ সোহিনীর চোখে-মুখে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৫৫
Share:

রণজয়-সোহিনী।

সোহিনী সরকারের পায়ের তলায় সর্ষে। গত দু’বছর ধরে জন্মদিনে তিনি কলকাতার বাইরে। গত বছরে ছিলেন মুর্শিদাবাদে। এ বছরে পুদুচেরিতে। সেখানেই ১ অক্টোবর সকাল সকাল অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করতে লাইভে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তখনই জন্মদিনের শুভেচ্ছার পাশাপাশি অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি প্রশ্ন, ‘‘রণজয়ের থেকে জন্মদিনে কী উপহার পেলি, সেটাই আগে বল।’’ প্রশ্ন শুনেই লাল আভা ছড়িয়ে পড়েছে ‘সত্যবতী’ সোহিনীর চোখে-মুখে। লাজুক কণ্ঠে মৃদু ধমক দিলেন অভিনেতা বন্ধুকে, ‘‘কী যে করো জয়জিৎদা! এ সব কি লাইভে বলতে আছে? পরে তোমায় হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়ে দেব।’’

নিজের শহর ছেড়ে, প্রেমিক রণজয়, জন্মদিনের উদযাপন ছেড়ে কেন পুদুচেরিতে সোহিনী? ফোনে তিনি অধরা। লাইভে সেই জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘শ্রীকান্ত’র বাকি কাজ শেষ করতেই সমুদ্রে ঘেরা শহরে তিনি।’’ তবে কলকাতায় নেই বলে উদ্‌যাপন কিন্তু বাদ যায়নি। অভিনেত্রী খুব ফুল ভালবাসেন। আর পুদুচেরিতে প্রচুর বেলফুল পাওয়া যায়। সেই ফুল দিয়ে ছবির অভিনেতা, কলাকুশলীরা সেট সাজিয়েছিলেন। তার পর ঘড়ির কাঁটা বারোটায় পৌঁছতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন। বিশেষ দিনের সকালে সোহিনী সেজেছিলেন খুব সুন্দর ভাবে। লাল শাড়ির সঙ্গে হাতকাটা ডিজাইনার ব্লাউজ। খোলা চুল, লাল লিপস্টিক, চোখে গাঢ় কাজল। তাঁর সেই সাজ দেখে এক অনুরাগীর দাবি, ‘‘এই আকর্ষণেই সোহিনীকে দেখলে আমার হাত আর চোখ আটকে যায়। আর অন্য কিছু দেখতে পারি না!’’

Advertisement


জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি পেয়েছেন অভিনেত্রী। আজকের দিনে তিনি প্রথমে তাই ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে যাবেন। স্কুটি চেপে ঘুরে দেখবেন মন্দির শহর। কী খাবেন? মায়ের হাতের পায়েস হয়তো পাবেন না। তবে প্রচুর রেস্তরাঁ, কেক-পেস্ট্রির দোকান রয়েছে তাঁদের হোটেলের আশপাশে। সোহিনীর কথায়, মোটা হওয়ার জন্য যা যা লাগে, সব পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ঘুরে দেখেছেন। আজ সে রকমই কোনও রেস্তরাঁয় জমিয়ে খাওয়া দাওয়া সারবেন। জানিয়েছেন, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি দক্ষিণ ভারতে। একই সঙ্গে আসন্ন দুর্গাপুজোর উত্তেজনাও চাপতে পারেননি তিনি। জানতে চেয়েছেন, তাঁর অনুরাগীরা কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন কিনা।

একটা বছর এগিয়ে যাওয়া মানেই বয়সের হিসেবে একটি সংখ্যার যোগ। সোহিনী জানেন, বয়স নিছক সংখ্যামাত্র। তবু প্রকৃত বয়েস লুকিয়েই রাখলেন অভিনেত্রী! জানালেন, ‘‘চুল পাকবে। চামড়ায় ভাঁজ পড়বে। রূপটানে সেই খুঁত একটা সময়ের পরে আর ঢাকা যাবে না। তার পরেও সেই সোহিনীকে যাঁরা ভালবাসবেন, তাঁদের খোঁজেই প্রতি জন্মদিনে আমি লাইভে আসি। লোভীর মতো চেটেপুটে শুষে নিই, সবার থেকে যেটুকু ভালবাসা পাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন