কর্ণ জোহর
ছোট পরদায় নতুন রিয়্যালিটি শো ‘ইন্ডিয়াস নেক্সট সুপারস্টার’ নিয়ে আসছেন বড় পরদার দুই বিখ্যাত পরিচালক কর্ণ জোহর ও রোহিত শেট্টি। সম্প্রতি মুম্বইয়ে সেই শোয়ের আনুষ্ঠানিক লঞ্চে নেপোটিজম থেকে যশ-রুহি... সব প্রশ্নের জবাব দিলেন ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর পরিচালক।
গত বছর কর্ণ জোহরের খবরে থাকার মূল কারণ ছিল নেপোটিজম। তাঁর চ্যাট শোয়ে এসে তাঁকেই ‘স্বজনপোষণের ধ্বজাধারী’ তকমা দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তার পর একটি অ্যাওয়ার্ড শোয়ের মঞ্চেও সেফ আলি খান ও বরুণ ধবনের সঙ্গে মিলে নেপোটিজম বিতর্ক আর একপ্রস্ত উসকে দেন কর্ণ। সেই প্রশ্নের জবাব দিতেই কি এই শো। ট্যাগলাইন ‘না খানদান, না সিফারিশ, সির্ফ ট্যালেন্ট।’ সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কর্ণের স্মার্ট সুইপ, ‘‘না, এই শোয়ের ট্যাগলাইন নেপোটিজমের উত্তর নয়।’’
কুড়ি জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সম্ভাবনাময় সুপারস্টারকে বেছে নেওয়ার পদ্ধতিটা কেমন হবে? উত্তরে কর্ণ বলেছেন, ‘‘প্রকৃত শিল্পীর গুণ অনেক ধরনের। কারও কমিক টাইমিং ভাল হতে পারে। কেউ সেটা হাসিতে প্রকাশ করতে পারেন, কেউ বা চাহনি দিয়েই। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সুপারস্টার আছেন, যাঁরা তাঁদের ম্যানারিজম দিয়েই দর্শকের সঙ্গে ভাল কানেক্ট করতে পারেন।’’
রিয়্যালিটি শোয়ের তারকারা কি আদৌ শক্ত জমি গড়ে তুলতে পারেন? জবাবে প্রতিযোগীদের পক্ষ সমর্থন করে কর্ণ বলেন, ‘‘একশো শতাংশ সাফল্য কখনও অর্জন করা যায় না। তবে রিয়্যালিটি শোয়ের বিজয়ীরাও ভাল কাজ করছেন। আর সেটা টেলিভিশনে না কি বড় পরদায়, সেই তুলনা আমার কাছে অবান্তর বলে মনে হয়।’’
সহ-বিচারক রোহিতের প্রসঙ্গে তাঁর কী মত? ‘‘আমরা আলাদা ভাবে টেলিভিশনে শো জাজ করেছি। এই প্রথম এক মঞ্চে কাজ করব। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। রোহিতের কাজও আমি খুব পছন্দ করি।’’ রোহিত ও কর্ণ যৌথ ভাবে প্রযোজনা করছেন ‘সিম্বা’, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় আছেন রণবীর সিংহ।
কাজ নিয়ে ব্যস্ততা তো আছেই। তবে বাবা হওয়ার পর কর্ণের জীবন কতটা বদলাল? চওড়া হাসি তাঁর মুখে। বললেন, ‘‘জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আগে যদি ছ’টা কাজ একসঙ্গে করতাম, এখন সাতটা। রোজকার রুটিনও বদলেছে। তবে আমি তো সব সময় বাড়িতে থাকতে পারি না। ওই সময়টুকু যশ-রুহি ওদের ঠাকুমার জিম্মায়। মা আমাকে প্রতি মিনিটের খবর দেন। যখন বাড়ির বাইরে থাকি, তখন বাচ্চাদের সঙ্গে ফেসটাইম করি।’’
সেটে বাচ্চাদের আনার পক্ষেও কর্ণের একদম সায় নেই। বললেন, ‘‘আমি যদি ডাক্তার হতাম, তা হলে কি আমার বাচ্চারা হাসপাতালে আসত? একজন ইঞ্জিনিয়ার কি তাঁর বাচ্চাকে কর্মস্থলে নিয়ে যান? তবে আমরা কেন সেটে বাচ্চাদের আনব? আমি ওদের উপরে কোনও কিছুই চাপিয়ে দিতে চাই না। ওরা বড় হোক। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখুক। আর পাঁচ জনের মতো পার্কে খেলুক, ভাল ভাবে পড়াশোনাও করুক।’’ ভাল বন্ধু শাহরুখের কাছ থেকে কোনও পেরেন্টিং টিপস নেন? ‘‘শাহরুখ এর মতো হ্যান্ডস-অন-ড্যাড খুব কমই আছে। ওকে দেখেই আমরা অনুপ্রেরণা পাই,’’ ভরাট গলায় বললেন যশ-রুহির বাবা।