প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু করেছিলেন ধূমকেতুর মতো। অল্প কয়েক দিনে অনুরাগীর সংখ্যা হয়েছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু যে ভাবে শুরু করেছিলেন, হারিয়েও গেলেন সে ভাবেই। বলিউডে অভিজিৎ সবন্ত এখন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া একটি নাম।
অভিজিতের জন্ম মুম্বইয়ে, ১৯৮১-র ৭ অক্টোবর। ছোট থেকেই গান ভালবাসতেন। বাণিজ্যে স্নাতক হওয়ার পরে গানেই কেরিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৪ সালে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর প্রথম সিজনে জয়ী হন অভিজিৎ। সে সময় সব বয়সের শ্রোতাদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। পরের বছর মুক্তি পায় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘আপ কা অভিজিৎ সবন্ত’।
প্লে ব্যাক-এ অভিজিতের আত্মপ্রকাশও ২০০৫ সালে। সে বছর ‘আশিক বনায়া আপনে’ ছবিতে প্রশংসিত হয় তাঁর কণ্ঠে ‘মরযাওয়াঁ মিটযাওয়াঁ’।
২০০৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘জুনুন’-এও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন অভিজিৎ।
মিউজিক অ্যালবাম, প্লে ব্যাক-এ আত্মপ্রকাশের পরেও রিয়েলিটি শো-এ অংশগ্রহণ করতেন অভিজিৎ।
২০০৮-এও তিনি দ্বিতীয় স্থান পান একটি রিয়েলিটি শো-এ।
ক্রমে গানের জগতে মিউজিক অ্যালবাম-এর জায়গা নিয়ে নেয় ইউটিউব। সেখানে প্রতিযোগিতার চাপে ক্রমশই পিছিয়ে পড়তে থাকেন অভিজিৎ সবন্ত।
গানের দুনিয়ার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ায় অভিজিৎ চলে আসেন অভিনয়ের জগতে। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি ‘লটারি’। সে বছর ‘তিস মার খান’ ছবিতেও একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও পরিচিত মুখ অভিজিৎ সবন্ত। বিশেষ ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেন ‘ক্যায়সা ইয়ে প্যায়ার হ্যায়’ এবং ‘সিআইডি’-তে।
স্ত্রী শিল্পার সঙ্গে অভিজিৎ অংশ নিয়েছিলেন রিয়েলিটি শো ‘নাচ বালিয়ে’-এর চতুর্থ সিজনে। কিন্তু প্রতিযোগিতার বেশি দূর অবধি তাঁরা এগোতে পারেননি।
ইন্ডিয়ান আইডলের প্রথম সিজনের জয়ী অভিজিৎ পঞ্চম সিজনে ফিরে আসেন সঞ্চালক হয়ে। তিনি সে বার শো সঞ্চালনা করেছিলেন হুসেন কুওয়াজেরওয়ালার সঙ্গে।
বিনোদন দুনিয়ার বিভিন্ন মহলে পরিচিত মুখ অভিজিৎ সবন্ত রাজনীতিতেও পা রেখেছেন। যোগ দিয়েছিলেন শিবসেনা-য়।
কিন্তু যেখান থেকে শুরু করেছিলেন, সেই গানের জগতেই ইদানীং অভিজিৎ বিস্মৃত অনেকটাই। তিনি শেষ প্লেব্যাক করেছেন ২০১৭ সালে।
তাঁর গাওয়া গান শেষ বার জনপ্রিয় হয়েছে ২০১৬ সালে। সে বছর তিনি ‘ঢিসুম’ ছবিতে সুরকার প্রীতমের পরিচলনায় ‘সও তারাহ কে রিভিজিটেড ইশক’ গানটি গেয়েছিলেন। (ছবি: ফেসবুক)