সেট জোড়া এক পাঠশালা

আড্ডায় উঠে এল কত অজানা গল্প! ধারাবাহিকের সেটে আনন্দ প্লাস আড্ডায় উঠে এল কত অজানা গল্প! ধারাবাহিকের সেটে আনন্দ প্লাস

Advertisement

নবনীতা দত্ত

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

চায়ের আড্ডায় কৌশিক, রূপসা, গৌরব

রূপকথার গল্পও অনেক কিছু শেখায়। ঠিক যেমন ‘আরব্য রজনী’র সেট। রাজকীয় সেটে তখন চলছে শুটিং। রূপসা ও প্রিয়ম ব্যস্ত তাঁদের শট দিতে। অন্য দিকে পরিচালক, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইউনিটের বাকিদের আড্ডা চলছে। সেই আড্ডায় উঠে এল অজানা গল্প। হিন্দি ছবির সেটে কী ভাবে শুটিং হয়, স্টান্টম্যানের কারসাজি থেকে নতুন ভিডিয়ো গেম পর্যন্ত! প্রত্যেকের হরেক রকমের শখ আর সেই শখেই একে অপরে ঋদ্ধ হচ্ছেন। কৌশিকের কথায়, ‘‘কোনও কিছু জানার ব্যাপারে আমি ভীষণ হ্যাংলা। শুটিংয়ের জন্য যেখানেই যাই, আশপাশের অজানা জগতের খোঁজে বেরিয়ে পড়ি।’’

Advertisement

আর সেটে? নবাগত অভিনেতাদের সঙ্গে কী ভাবে সময় কাটে? এ বার রূপসা এগিয়ে এলেন কথা বলতে, ‘‘পিন্টু আঙ্কল (কৌশিক) সব সময়ে আমাকে নিয়ে মজা করে। শুটিংয়ে ব্যবহৃত পুড়ে যাওয়া প্রদীপের কালো তেল নিয়ে বলে, এটা দিয়েই আজকে মেকআপ তুলতে হবে। বেবি অয়েল পাওয়া যাবে না। ধুলোমাখা আঙুর দিয়ে বলে ওটাই নাকি খেতে হবে!’’ অন্য দিকে গৌরব মণ্ডলের সঙ্গী তাঁর গিটার। মাঝেমধ্যেই গিটার নিয়ে চলে আসেন সেটে। সেই গানেই অবসর কাটে সকলের।

সেটের বাইরে স্টুডিয়োটা যেন পুরো পিকনিক স্পট! জানা গেল, সত্যিই রোজ পিকনিক হয় সেখানে। টেকনিশিয়ানরা সকালে বাজার করে নিয়ে আসেন। ধুয়েমুছে, কেটেকুটে রান্না হয়। দুপুরে সকলে একসঙ্গে লাঞ্চ করেন। বিকেলে একটা বড় গামলায় জমিয়ে মুড়ি মাখা হয়।

Advertisement

আড্ডার মাঝেই চোখ চলে গেল একটা ছোট্ট কুকুরছানার দিকে। সে সকলের নয়নের মণি। পশুপ্রেমী গৌরবের কথায়, ‘‘ওরা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে। আমি তো এই ধারাবাহিকের জন্য ঘোড়সওয়ারি শিখেছি। ট্রেনিংয়ের আগে ঘোড়ার সঙ্গে দু’দিন সময় কাটাতে হয়। ঘোড়ার ভাষাও শিখেছিলাম। ওরা এত তাড়াতাড়ি সওয়ারিকে বুঝে যায় যে, তার সওয়ারি ভয় পেলে বা মনখারাপ থাকলে, সেটাও ধরে ফেলে।’’

একে অপরের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাগ করেই এগিয়ে যেতে চান এই ধারাবাহিকের অভিনেতারা। প্রিয়মও সে কথা একবাক্যে স্বীকার করলেন। সিনিয়র শিল্পীরা কী ভাবে অভিনয় করছেন, সে দিকে চোখ থাকে তাঁর। শেখার চেষ্টা করেন তা থেকে। অন্য দিকে আবার অবসর কাটাতে মিউজ়িক্যাল ভিডিয়ো তৈরি করেন রূপসার সঙ্গে। তবে প্রযুক্তি বিষয়ে এই প্রজন্মের অভিনেতাদের মতোই এগিয়ে আছেন সিনিয়র শিল্পীরাও। রোহিত মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘ওদের মতো ভিডিয়ো করি না। আমি হোয়্যাটসঅ্যাপে স্বচ্ছন্দ।’’ সেটে অবশ্য সময়ের অভাব। দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরেই সময় কেটে যায় সকলের। তার ফাঁকে যেটুকু সময় পাওয়া যায়, তার মাঝেই তৈরি হয় এক অন্য রূপকথা।

ছবি: তন্ময় সেন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement