Shruti Das

এখনও পয়লা নম্বরে ‘ত্রিনয়নী’, আর প্রেম? কী বলছেন শ্রুতি?

মৌসুমী বিলকিস আনন্দবাজার ডিজিটালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছিলেন, কাজ শুরুর আগে একটি সম্পর্কের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। এখনও সেই সম্পর্কের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা।

Advertisement
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ১১:২৪
Share:

শ্রুতি দাস

Advertisement

‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের নায়িকা ত্রিনয়নী। যাকে গল্পের চরিত্ররা নয়ন বলেও ডাকে। নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি দাস। তিনি এই ধারাবাহিক দিয়েই শুরু করেছেন টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রথম কাজ। গল্পে ও ব্যক্তিজীবনে ঠিক কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর প্রেমের ধারণা, প্রেমের মুহূর্ত?

ধারাবাহিকের গল্পে নয়ন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বরের বিয়ে দিচ্ছে। মানে নায়ক দৃপ্তর(গৌরব রায়চৌধুরী) সঙ্গে তার বিয়ে হলেও বাড়ি থেকে বিতাড়িত হতে হয় তাকে। পরে আবার ফিরে আসে, দৃপ্তকে বিভিন্ন দুষ্ট চক্রান্ত থেকে বাঁচানোর জন্য। কারণ, নিজের বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে সে আগে থেকেই দেখতে পায় দৃপ্তর অমঙ্গল। নিজের ত্রিনয়নের ভবিষ্যৎ দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা কাজে লাগিয়েএক একটা চক্রান্তকে সে ভেঙে দিতে দিতে এগিয়ে চলে। দৃপ্তকে বাঁচানোই যেন তার জীবনের লক্ষ্য।ফলে দৃপ্তর বাড়ির গৃহকর্মী হয়ে ফিরে আসাকেই নয়ন মেনে নেয়। দৃপ্ত কখনও বোঝে, কখনও বোঝে না তার অব্যক্ত প্রেম। গল্পের নায়িকা তাই বুকের ভেতর যন্ত্রণা চেপে রেখে গল্পের জট ছাড়াতে ছাড়াতে চলে। গল্পের নয়নের প্রেমের ওপর চাপা পড়ে থাকে এক ভারী পাথর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডিজিটালে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছিলেন, কাজ শুরুর আগে একটি সম্পর্কের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। এখনও সেই সম্পর্কের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। এখনও কষ্ট পান সেই সম্পর্কের কথা ভেবে। তাই আর নতুন কোনও সম্পর্ক নয়। আপাতত কাজেই মনোনিবেশ করতে চান তিনি। অন্যদিকে নিজের কালো রঙের জন্য হেনস্থাও কম হতে হয়নি। তবে কাজ শুরু করার পর অনেকেই তাঁর রঙের থেকে গুণের তারিফ করেছেন। ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রটিও এক কালো মেয়ের যন্ত্রণার গল্প। নিজেও তাই একাত্ম হয়ে যেতে পেরেছেন চরিত্রর সঙ্গে। দর্শকও সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। তার ফলেই বোধহয় ধারাবাহিকের টিআরপি রেটিং চড়চড় করে বেড়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ধারাবাহিকটি তালিকার প্রথম দিকে আসতে পেরেছে। এই সপ্তাহ পর্যন্তও টানা ছ’সপ্তাহ ধরে প্রথম হয়ে আসছে ধারাবাহিকটি।

আরও পড়ুন-কার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন ‘ত্রিনয়নী’-র সুধা?

অনেক দিনই তো হল। এখনও পুরনো বিচ্ছেদের বিষণ্ণতা নিশ্চয় ছুঁয়ে যায় তাঁকে।কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি কি নতুন প্রেমে পড়েছেন?

প্রশ্ন শুনেই হাসলেন তিনি। খানিক ধোঁয়াশা রেখে বললেন, “প্রেমে পড়েছি গুণের। আমি রূপের চেয়ে মানুষের গুণের প্রেমে বেশি পড়ি। আবার বিভিন্ন মানুষের এক একটা গুণের প্রেমেও পড়ি।”

‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে শ্রুতি

তাহলে নতুন সম্পর্ক আর নয়? শ্রুতি আবার হেসে উত্তর দিলেন, “২০২০ সালে একটা স্টেবল রিলেশনশিপের স্বপ্ন দেখি।”সেকি! একেবারে সময় মেপে প্রেমে পড়বেন? শ্রুতি যোগ করলেন, “ঠিক তা নয়। কারণ, আমার শেষতম ব্রেকআপ হয় ২০১৮ সালে। ব্রেকআপের তিন মাসের মাথায় এই ধারাবাহিকে সুযোগ পাই। কিন্তু ২০১৯ আমার কাছে লাকি। এই সালে সব পজিটিভ হচ্ছে। আমিও রোজ পজিটিভ হওয়ার চেষ্টা করছি। তাই চাইছি, যার সঙ্গেই সম্পর্ক হোক না কেন ২০২০-তে সম্পর্কটা যেন স্টেবল হয়।”

কিন্তু ২০২০ সালেই রিলেশনশিপে স্টেবল হওয়ার স্বপ্ন কেন? শ্রুতির সাফ জবাব: “কারণ সংখ্যাটা মজার। মনে থাকবে সারা জীবন। কিন্তু তিনি যে-ই হন আমি বলতে চাই যে, ‘রূপে তোমায় ভোলাব না, ভালবাসায় ভোলাব।’’

আরও পড়ুন-সাবেকি সাজে বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় মাতলেন অপরাজিতা

ভালবাসায় ভুলে থাকা মানুষটি কি সেকথা জেনেছেন? শ্রুতি একটু সময় নিয়ে ভাবলেন, “উমম্‌... সেটা বলা মুশকিল। যদি কেউ ভুলেই থাকেন ভালবাসায় তো আগে বাড়িতে জানাব। তারপর বাকি সবাই জানবে।”

গল্পের জীবনে ত্রিনয়নীর চরম মুহূর্ত। অন্য কারও সঙ্গে কিবিয়ে হয়ে যাবে দৃপ্তর? আর ব্যক্তিজীবনে? ২০২০-র মনের মানুষের খোঁজ কি সত্যি পেয়েই গিয়েছেন তিনি? উত্তর নেই। শ্রুতির চোখে দুষ্টুমির হাসি। হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে চললেন শুটিং ফ্লোরে। তাঁর কণ্ঠের রবীন্দ্রগানভেসে আসছে, “আমি রূপে তোমায় ভোলাব না...।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন