পাশাপাশি মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য, চৈতালি দত্ত, শার্লি মোদক। ছবি: ফেসবুক।
দু’জনেই দীর্ঘ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন। তার পর বিচ্ছেদ। দু’জনেই নতুন সঙ্গীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন। কথা হচ্ছে ছোটপর্দার দুই জনপ্রিয় অভিনেতা শার্লি মোদক (‘তুই আমার হিরো’), মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যকে (‘চিরদিনই তুমি যে আমার’) নিয়ে। শার্লি সাতপাক ঘুরেছেন অভিনেতা অভিষেক বসুর সঙ্গে। মৃত্যুঞ্জয় আইনি বিয়ে সেরেছেন নেটপ্রভাবী কন্যা চৈতালি দত্তর সঙ্গে।
স্ত্রী চৈতালি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ‘হিন্দোল’ জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে অনেক ‘ব্যথা’। সে সব সামলে দিয়েছেন চৈতালি। সারা ক্ষণ তাঁকে ঘিরে থাকেন, আগলে রাখেন। বলতে বলতে তাঁর দাবি, “কিছু বিচ্ছেদ বোধহয় ভালর জন্যই হয়। পাঁচ বছরের প্রেম ভাঙতে খুব কষ্ট হয়েছিল। এখন বুঝেছি, ওই সম্পর্ক না ভাঙলে চৈতালির মতো ভাল মানুষের সন্ধান পেতাম না।”
বিয়ের পর থেকেই শার্লি-অভিষেকের নানা মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। তুলনায় মৃত্যুঞ্জয় যেন অনেকটাই নীরব। তাঁর আর চৈতালির ছবি সে ভাবে প্রকাশ্যে আসে না। এই নীরবতা ইচ্ছাকৃত? না কি প্রাক্তনের ছবি, স্মৃতি তাঁকে ব্যথা দেয়। তাই তিনি প্রতিযোগিতায় নেই?
প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। মৃত্যুঞ্জয়ের সপাট জবাব, “শার্লি মোদক নামে কোনও নারীর অস্তিত্বই আর আমার জীবনে নেই। আমার সত্তা জুড়ে শুধুই চৈতালি। খুবই ভাল মনের মানুষ।” একটু থেমে যোগ করেছেন, তিনি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নন। না পেশাজীবনে, না ব্যক্তিগত জীবনে। এ সব থেকে দূরে থাকবেন বলেই সমাজমাধ্যমে বেশি সক্রিয় নন। ফলে, অতীত তাঁর সামনে ভিড় জমাতে পারে না।
২০১৭ সালে জলপাইগুড়িতে তিস্তাপারে শার্লির সঙ্গে আলাপ তাঁর। সেই ভালবাসা টিকেছিল পাঁচ বছর। মৃত্যুঞ্জয়ের কথায়, “খুব গভীর ছিল সেই সম্পর্ক। তাই বিচ্ছেদের পর ঠিক করেছিলাম, আর সম্পর্কে জড়াব না।” কিন্তু কপালে থাকলে খণ্ডাবে কে? এ বার কলকাতার এক ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ দেখা চৈতালির সঙ্গে। “একদিন রাস্তায় শুটিং করছিল। প্রথম দেখায় প্রেম। আলাপ হওয়ার পর বেশ ভাল লাগল। সেই অনুভূতি থেকেই এত বড় সিদ্ধান্ত”, বক্তব্য তাঁর।