Saif Ali Khan

সইফ-করিনার বাড়ির ভিতরে ২০ জন ফটোশিকারির প্রবেশ, চাকরি খোয়া গেল নিরাপত্তাকর্মীদের?

সইফ-করিনার আবাসনে মাঝরাতে ঢুকে পড়ে কুড়ি জন চিত্রসাংবাদিক। মেজাজ হারান ছোট নবাব। চাকরি থেকে বিতারিত নিরাপত্তারক্ষীরা? বিবৃতি দিয়ে খোলসা করলেন অভিনেতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৯:১১
Share:

সইফ-করিনার আবাসনে ফটোশিকারিদের প্রবেশ, চাকরি থেকে ছাঁটাই নিরাপত্তারক্ষীরা! সত্যিটা সামনে আনলেন অভিনেতা। ছবি: সংগৃহীত।

দিন দিন যেন আরও বেশি করে মায়ানগরীতে দৌরাত্ম্য বাড়ছে ফটোশিকারিদের। তাঁদের উপদ্রবে তারকাদের নাভিশ্বাস ওঠার পরিস্থিতি। একটা মুহূর্ত যেন রেহাই নেই। জিম, রেস্তরাঁ, বিমানবন্দর— এ সব তো ছিলই। এখন পরিস্থিতি এমন যে, বাড়ির ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে ফটোশিকারির দল। ঠিক যেমনটা হল সইফ আলি খান ও করিনা কপূররে সঙ্গে। মালাইকা অরোরার মা জয়েস অরোরার জন্মদিনের পার্টি ছিল। নিমন্ত্রিত ছিলেন সইফ আলি খান এবং করিনা কপূর খান। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি করে বাড়ি ফিরছিলেন ‘সইফিনা’। গেট পেরিয়ে বাড়ির অন্দরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন জনা কুড়ি আলোকচিত্রী পোজ দিতে বলেছেন তাঁদের। স্বাভাবিক ভাবেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে অভিনেতার। চিত্রসাংবাদিকদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘একটা কাজ করুন। আপনারা আমাদের বেডরুমে চলুন!’’ তার পরই শোনা যাচ্ছে, কমপ্লেক্সের ভিতরের নিরাপত্তাকর্মীদের নাকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন ছোট নবাব।

Advertisement

তবে সত্যিই কি ফটোশিকারিরদের কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হলেন সইফ-করিনার আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা! বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সইফ আলি। তিনি জানান, আবাসনের কোনও নিরাপত্তাকর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়নি। কারণ গোটা ঘটনায় তাঁদের কোনও দোষই ছিল না। আবার ফোটোশিকারিদের বিরুদ্ধেও কোনও আইনি অভিযোগ তিনি করছেন না। কারণ সে পথে তিনি এখনই হাঁটতে চাননি। অভিনেতার কথায়, ‘‘আবাসনের নিরাপত্তাকর্মীদের তোয়াক্কা না করেই প্রায় ২০ জন চিত্রসাংবাদিক ঢুকে পড়েন। যা মোটেই শোভনীয় আচরণ নয়। কারও ব্যক্তিগত জায়গা এ ভাবে ঢুকে পড়াটা অন্যায়, প্রত্যেকেরই নিজের সীমার ভিতরে থেকে কাজ করা উচিত।’’

শুধু সইফ-করিনা নন, তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর আলি খান ও ছোট্ট জেহ আলিরও নিস্তার নেই। ফটোশিকারিরা সারা ক্ষণ ব্যস্ত তাঁদের লেন্সবন্দি করতে। যদিও অন্য দম্পতিদের মতো সংবাদমাধ্যমের আড়ালে নয়, বরং দুই সন্তানকে তাঁরা বড় করে তুলছেন লোকচক্ষুর সামনেই। তবে মাঝেমধ্যে তৈমুরের স্কুলের বাইরে আলোকচিত্রীদের দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন করিনার স্বামী।

Advertisement

শেষে সইফের সংযোজন, ‘‘আমরা সব সময় আলোকচিত্রীদের সহযোগিতা করি। আমরা ওদের কাজটা বুঝি, সব সময় হাসিমুখে পোজ় দিয়ে থাকি। কিন্তু সেটা বাইরে, বাড়ির ভিতরে নয়। এ রকম চলতে থাকলে তো সীমা থাকে না? সেই কারণেই আমি বেডরুমের প্রসঙ্গ টেনেছিলাম। কারণ ওরা সেই সীমা পার করে গিয়েছিল। গোটা বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন