entertainment

সৌজন্য দোষী না নির্দোষ? নেটমাধ্যমে কাটাছেঁড়া চলছে ‘খড়কুটো’ নিয়ে

এই প্রথম মন খুলে নিজের মনের কথা জানিয়েছে সৌজন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২১ ১৮:০০
Share:

গুনগুন ও সৌজন্য ।

ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্ব বলছে, পুরো মুখোপাধ্যায় পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নেটমাধ্যম। এই প্রথম মন খুলে নিজের মনের কথা জানিয়েছে সৌজন্য। গুনগুনকে সে কী চোখে দেখে, সে কথাও গোপন করেনি। ফলে, এত দিন ‘বাবিন কুমার’রের উপর জমে থাকা যাবতীয় ক্ষোভ সাফ। যদিও গুনগুনের চিঠি প্রথমে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ‘ক্রেজি’কেই। সে দোষী না নির্দোষ? সিদ্ধান্তে আসতে গিয়ে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন স্টার জলসার ধারাবাহিকের অনুরাগীরাও।

মেগার ফ্যান ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার হয়েছে কিছু বাছা মন্তব্য। সেই মন্তব্যগুলোই সাক্ষী, সৌজন্যের প্রতি হারানো আস্থা ফিরে এসেছে আবার। এক নেটাগরিকের কথায়, ‘আচ্ছা, বাবিনের প্রতি পটকার এই জঘন্য ব্যবহার আর কত দিন দেখতে হবে? কী রকম আচরণ, কী রকম কথা বলার ভঙ্গি!’ সেই রেশ ধরেই একজনের অনুযোগ, ‘ওর পরিবারটা কেমন? বাবিনের থেকে গুনগুনের দামটাই ওদের কাছে বেশি! আমরা চেয়েছিলাম ওরা ২ জনকে সমান ভালবাসুক!’

রসিকতার অন্ত নেই তার মধ্যেই। অবিকল পটকার ভঙ্গি নকল করে কেউ ‘টুম্পা সোনা’ গানের মিল পেয়েছেন সৌজন্যের পরিস্থিতির সঙ্গে। বলেছেন, ‘বৌটা চলে গেল, মনটা ভেঙে গেল--- এই লাইন এখন শুধুমাত্র সৌজন্য-র জন্য প্রযোজ্য।’

Advertisement

নেটমাধ্যমে কাটাছেঁড়া চলছে ‘খড়কুটো’ নিয়ে।

কতটা উপভোগ করছেন ‘সৌজন্য’ ওরফে কৌশিক রায়? বাবিনের মতো তিনিও কি এ সবে নিস্পৃহ? রাজনৈতিক আঙিনায় সদ্য পা রাখা কৌশিকের গলায় যেন সেই রকম সুরই শোনা গেল, ‘আমি কিচ্ছু জানি না সামাজিক মাধ্যমে কী হচ্ছে। কারণ, আমি এই মাধ্যমের সঙ্গে খুব একটা যুক্তি নই। ফলে, উপভোগ করার প্রশ্ন আসছে না।’ সেই সঙ্গে অনুরাগীদের কাছে তাঁর আবদার, শুধুই ভাল বলা বা প্রশংসা নয়, টিমের ভুলটাও যেন তাঁরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। ‘খড়কুটো’র প্রত্যেক সদস্য এটাই আশা করেন।

বাবিনকে কাটাছেঁড়ার পাশাপাশি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে হমকি দিতেও ভোলেননি নেটাগরিকেরা, ‘কাল যদি সৌগুনের আলিগা আর হামিগা না হয় তাহলে ভজনবাবুর মতো রোদে ভিজে আর জলে পুড়ে অনশন করব, বলে রাখলাম!’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement