মিডিয়ার সামনে কোনওদিন একসঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। ভিন্ন দু’জন মানুষ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজস্ব পরিসরে থাকতে চেয়েছেন। সুমন আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
কিন্তু হলে কী হবে? তাঁদের প্রেম, বিরহ, ঝগড়া সব কিছু নিয়েই কৌতূহলের শেষ নেই।
ইদানীং শোনা যাচ্ছে, সুমন আর স্বস্তিকার নাকি বিচ্ছেদ আসন্ন! সুমনের ফেসবুকে ঘন-ঘন ছেলের কথা, ছেলের ছবি আপলোড করা। ‘অসমাপ্ত’র প্রিমিয়ারে স্বস্তিকার অনুপস্থিতি। স্বস্তিকার দীর্ঘদিন মুম্বই না থাকা, ইত্যাদি নানা যুক্তি দেখানো হচ্ছে এই ভাঙনের সমর্থনে। সম্প্রতি এক সংবাদপত্র তাঁদের গসিপ কলামে ফেসবুকে বুদাপেস্টে স্বস্তিকার এক বন্ধুর সঙ্গে ছবি দেখে খবর করে দিয়েছিল যে, ছোটবেলার এই বন্ধুর সঙ্গেই নাকি স্বস্তিকার এখন প্রেম!
সবটাই অনুমানভিত্তিক। কারণ স্বস্তিকা বা সুমন কেউই এ বিষয় নিয়ে কোথাও মুখ খোলেননি। দু’জনের কেউই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলে মিডিয়ায় পাবলিসিটা চান না।
তা হলে আসল বিষয়টা কী?
তদন্তে নামল আনন্দ প্লাস। দেখা গেল সবটাই গুজব। সুমন ‘অসমাপ্ত’ ছবির স্ক্রিনিংয়ের জন্য এখন আমেরিকায়। নিয়মিত স্বস্তিকার সঙ্গে তাঁর হোয়াটস্অ্যাপে কথা হচ্ছে। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি মজা করেই সুমন বলেছেন, আগে লোকে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি যেত, এখন বন্ধুর বাড়ি যায়। ঝগড়া মানেই কি বিচ্ছেদ নাকি? মাঝে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল এ খবর সত্যি। কিন্তু দু’জন পরিণত মানুষের মতো সেটা মিটিয়েও ফেলেছেন তাঁরা। সাড়ে তিন বছরের এই সম্পর্কে কোথাও যে কোনও চিড় ধরেনি তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। এমনকী, স্বস্তিকার বাড়িতেও এই সম্পর্ককে সহজ ভাবেই নেওয়া হয়েছে। ভালবাসার খুঁটি শক্ত বলেই বিরোধ মিটেছে।
কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অনেক বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন স্বস্তিকা। সেই কারণে কাজ ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে অকারণে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে যে কোনও কথা বলবেন না, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
আনন্দ প্লাস-এর সাক্ষাৎকারে সুমনের সঙ্গে থেকে বই পড়া, ছবি দেখার আগ্রহ যে তাঁর আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে, তা নিজেই স্বীকার করেছেন স্বস্তিকা। বলেছেন, সুমন অন্য নায়িকাকে নিয়ে ছবি করতে পারে, তিনিও যেমন ভাল চরিত্র পেলে অন্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন আর ভবিষ্যতেও করবেন। এর পরেও সুমন-স্বস্তিকা সম্পর্ক নিয়ে এত জল্পনার কি আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে?