Gina Lollobrigida

প্রয়াত হলেন এক সময়ের ‘সুন্দরীশ্রেষ্ঠা’ ইটালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা

জিনা ২৪টিরও বেশি ইউরোপীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর প্রথম ইংরেজি ছবি ছিল ১৯৫৩ সালে জন হুস্টনের পরিচালনায় ‘বিট দ্য ডেভিল’। সেখানে তিনি হামফ্রে বোগার্টের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইটালি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:২৬
Share:

ইটালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা সোমবার প্রয়াত হলেন। ছবি: সংগৃহীত।

ইটালীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং এক সময়ে হলিউডের পর্দা কাঁপানো নায়িকা জিনা লোলোব্রিজিদা সোমবার প্রয়াত হলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইটালীয় চলচ্চিত্রে তাঁর আবির্ভাব যেন এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। তাঁকে বাসনার মূর্তরূপ বলে বর্ণনা করতে শুরু করে সেই সময়কার গণমাধ্যাম। অচিরেই ‘যৌন প্রতীক’ হিসেবে পরিচিতি পান জিনা। ১৯৫০ এবং '৬০-এর দশকের বিনোদন পত্রিকা প্রায়শই তাঁকে উল্লেখ করত 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী' হিসাবে।

Advertisement

সোমবার ইটালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রাঞ্চেস্কো লোলোব্রিজিদা টুইট মারফত জিনার মৃত্যুর খবরটি সর্বপ্রথম জানান। প্রসঙ্গত, ফ্রাঞ্চেস্কো জিনার প্রপৌত্র। পরে সে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী জেনারো স্যাঙ্গিউলিয়ানো নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় জিনার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেন। রোমের একটি চিকিৎসালয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

জিনা ২৪টিরও বেশি ইউরোপীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর প্রথম ইংরেজি ছবি ছিল ১৯৫৩ সালে জন হুস্টনের পরিচালনায় ‘বিট দ্য ডেভিল’। সেখানে তিনি হামফ্রে বোগার্টের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। জিনা অভিনয় করেছেন ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা বা অ্যান্টনি কুইনের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গেও। ১৯৬১ সালে রোম্যান্টিক কমেডি ‘কাম সেপ্টেম্বর’-এ রক হাডসনের বিপরীতে তাঁর অভিনয় গোটা বিশ্বেরই মন জয় করে নিয়েছিল বলে জানা যায়। একই সঙ্গে জিনা ছিলেন দক্ষ নৃত্যশিল্পী।

Advertisement

‘লোলো’ নামে বেশি পরিচিত জিনার প্রসঙ্গ এলেই আজও চলচ্চিত্র আলোচকরা তাঁকে ‘যৌন প্রতীক’ হিসাবেই যেন বেশি করে ভাবেন। রূপ আর আবেদনের ঝলকানিতে তাঁর অভিনয় প্রতিভার কথা খানিক চাপা পড়েই যায়।

সিনেমার জগৎ থেকে সরে এসে পরে জিনা পা রাখেন আলোকচিত্রের জগতে। আলোকচিত্রী হিসাবে বেশ খ্যাতিও পান এক সময়ে। ১৯৭৩ সালে তাঁর প্রথম আলোকচিত্রের বই প্রকাশিত হয়। যার নাম ‘ইটালিয়া মিয়া’। সেই গ্রন্থে ইটালির জনজীবনের কড়চাকে মূলত সাদা-কালোয় ধরে রেখেছিলেন জিনা। এক সময়ে রাজনীতির অঙ্গনেও প্রবেশ করেছিলেন তিনি।

১৯৬১-এ তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান। ১৯৯৩ সালে তিনি ফরাসি সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান লিজিয়ঁ দ্য ন্যর লাভ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন