Jeet Ganguly

Jeet Ganguly: বৌয়ের দেওয়া ঘড়ি, গিটার আর পুরুলিয়ায় গান গেয়ে কাটছে জিতের জন্মদিন

স্ট্রাগল ছিল। তাই জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ তারকা। গান ছিল বলেই জন্মদিনে তারকা বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১৩:২৬
Share:

সঙ্গীতশিল্পী জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

স্ত্রী চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় নাকি মঙ্গলবার বিশেষ দিনে ফতোয়া জারি করেছেন, ‘‘জন্মদিনে সমস্ত ফোন নিজে ধরবে। সবার সঙ্গে কথা বলবে। অনুরাগীরা নেটমাধ্যমে অফুরন্ত ভালবাসা, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তাতেই মন আর পেট ভরে যাবে। ওটাই আজ তোমার খাবার!’’

Advertisement

গানের মানুষ, সুরের মানুষ জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সেই জন্মদিনে কি শুধুই শুভেচ্ছা প্রাপ্তি? আদ্যোপান্ত বাঙালি জিৎ আনন্দবাজার অনলাইনকে কী বললেন?

‘‘আমার দ্বারা সব হবে। উপোস হবে না। অনেকে বলেছেন, একটু ওজন ঝরানোর জন্য। ডায়েটিংয়ের পরামর্শও দিয়েছেন। আমিই পারি না! বাঙালি কব্জি ডুবিয়ে না খেয়ে থাকতে পারে?’’ সাফ কথা জিতের। বিশেষ দিনের সকাল তাই শুরু হয় মায়ের হাতের কড়াইশুটির কচুরি, আলুর দম দিয়ে। দুপুরে ভাতের পাতে শুক্তো, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, মাছ, মাংস, চাটনি, দই, মিষ্টি আছেই। আর থাকে মায়ের রাঁধা পায়েস। জিতের দাবি, ‘‘এ গুলো থালার চারপাশে মা গুছিয়ে না দিলে মনেই হয় না, আজ আমার জন্মদিন!’’

Advertisement

তবে এ বছরের জন্মদিন একটু অন্য রকম। মীরা গঙ্গোপাধ্যায় ছেলে, বৌমাকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন পুরুলিয়ায়। সেখানেই পাহাড়ের কোলে দিনটা উপভোগ করবেন। খাওয়াদাওয়াও হবে। সন্ধেয় হবে গান-বাজনা। এটাই ছেলের জন্মদিনে মায়ের উপহার। তবে মায়ের হাতের রান্না হবে না। জিৎ জানিয়েছেন, মা তাঁকে কথা দিয়েছেন, মুম্বই ফিরে প্রতি বছর যা যা হয় সব নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াবেন। মায়ের পাশাপাশি স্ত্রী-ও উপহার দিয়েছেন তাঁকে। কী দিলেন চন্দ্রাণী? জিতের উত্তর, একটি গিটার আর ঘড়ি। সুরকারের পাশেই ছিলেন তাঁর ঘরনি। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর কপট অনুযোগ, ‘‘সারা ক্ষণ ব্যস্ত। সবাইকে সময় দিতে দিতে আমায় সময় দেওয়ার কথাই ভুলে যায়! তাই ঘড়ি দিয়েছি। কব্জিতে বাঁধা থাকবে। চোখ পড়লে আমার কথাও মনে পড়বে।’’

এটা তারকা জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিনের উদ্‌যাপন। সাদামাটা, ছোট্ট জিতের জীবনে এই বিশেষ দিনে কী হত? সুরকার কথায় কথায় হাজির করলেন তাঁর ছেলেবেলাকে। জানালেন, ভাল-মন্দ রান্না হোক না হোক মায়ের হাতের পায়েস থাকতই। আর থাকত গিটার। মা-ই তাঁকে প্রথম গিটার কিনে দিয়েছিলেন। জিতের উপলব্ধি, তখন লড়াই ছিল। অভাব ছিল। আর পাঁচ জন শিশুর মতো অনায়াস জীবন তাঁর ছিল না। খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে হয়েছে তাঁকে। উপার্জন শুরু করতে হয়েছে। কিন্তু তাই নিয়ে কোনও আফশোস নেই। তাঁর যুক্তি, ‘‘স্ট্রাগল করার ভাগ্য নিয়ে জন্মাতে হয়। সবাই এই লড়াইকে ছুঁতে পারে না। আমি পেরেছি। শুরুতে গান পেশা হলেও সেটাই এখন আমার ভালবাসা। সুর-তাল-কথার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গিয়েছি।’’

পাল্টা প্রশ্নও করেছেন, গান আছে বলেই রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীরা জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। গান না থাকলে কি তারকাদের এত ভালবাসা পেতেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন