Kangana Ranaut

দিলজিৎ-কে কর্ণ জোহরের ‘পোষ্য’ বলে অপমান করলেন কঙ্গনা

বৃহস্পতিবার থেকে দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও কঙ্গনার বাগযুদ্ধ কুৎসিত রূপ ধারণ করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৪০
Share:

দিলজিৎ-কে ‘কর্ণ জোহরের পোষ্য’ বলে অপমান করলেন কঙ্গনা।

পঞ্জাবি সুপারস্টার দিলজিৎ-কে ‘কর্ণ জোহরের পোষ্য’ বলে অপমান করলেন কঙ্গনা। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লির রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। সেই প্রতিবাদকে ‘দেশদ্রোহী’ কার্যকলাপ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যে পঞ্জাবের গোটা তারকা জগত ক্ষুব্ধ। কটাক্ষ বিনিময় চলছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও কঙ্গনার বাগযুদ্ধ কুৎসিত রূপ ধারণ করেছে।

Advertisement

পঞ্জাবের সুপারস্টার দিলজিৎ। একাধারে দুর্দান্ত গায়ক ও অভিনেতা। বলিউডে ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিতে অভিনয় করার পর থেকে পঞ্জাবের বাইরেও তাঁর ফ্যানবেস তৈরি হয়। তার পর বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় এবং প্লেব্যাক করেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, কর্ণ জোহরের পরের ছবিতে কাজ করতে পারেন অভিনেতা। বাগযুদ্ধের সময়ে কঙ্গনা অপমান করার উদ্দেশ্যে হঠাৎই কর্ণের নাম তুললেন। এবং দিলজিৎ-কে কর্ণের পোষ্য বলে সম্বোধন করলেন। আর নিজেকে সিংহী। কঙ্গনার বক্তব্য, কৃষকদের সারল্যের সঙ্গে খেলা করা হচ্ছে। পিছন থেকে তাঁদের মদত দেওয়া হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে কৃষি আইন নিয়ে। আর এসব থেকেই শাহিনবাগের মতো ‘হিংসায় পরিণত হবে এই আন্দোলন।’

এই টুইট যুদ্ধ বড় মোড় নেয় একটি বিশেষ টুইট থেকে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই কঙ্গনা দাবি করেন, শাহিনবাগের আন্দোলনকারী বৃদ্ধা বিলকিস এই আন্দোলনেও যোগদান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নাকি ১০০ টাকার বিনিময়ে যে কোনও প্রতিবাদে চলে যান। সেই টুইটের পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন দিলজিৎ। মহিন্দর কৌর নামে এক বৃদ্ধার ভিডিয়ো। দিলজিৎ দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে বিলকিসকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন কঙ্গনা। তার পরেই কটাক্ষের তির। এক বার এ দিক থেকে। আর এক বার ও দিক থেকে। সব টুইটেই ‘তুই-তোকারি’ চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে কঙ্গনাকে আইনি নোটিস

‘পোষ্য’ বলার পর দিলজিৎ লিখলেন, ‘তার মানে তুই যাঁদের যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছিস, তাঁদের সকলের পোষ্য তুই? তাহলে তো তোর মালিকের তালিকা বিশাল লম্বা। মনে রাখ এটা বলিউড না। এটা পঞ্জাব। এখানে মিথ্যে কথা বলে মানুষের মগজ ধোলাই করা যায় না। একজন মহিলা হয়ে অন্য কারওর মা-বোনের সম্পর্কে এমন কথা বলিস কী করে?’ কঙ্গনা বললেন, ‘তুই যাদের পা চাটিস, তাদের আমি যোগ্য জবাব দিই। আমি মিথ্যে বলি না। আমি কেবল শাহিনবাগ দিদার প্রসঙ্গ তুলেছি।’

এর পরেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন পঞ্জাবের বিশিষ্টরা। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে আদালতের নোটিসও চলে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ওটিটি এখন আমার প্রথম পছন্দ’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন