Kangana Ranaut

কঙ্গনার বাংলো ভাঙার নির্দেশ খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

কঙ্গনা তাঁর বাংলো ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএমসি-র কাছে থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৪:২৪
Share:

কঙ্গনা রানাউত।

সমস্যার বোঝা আপাতত কিছুটা হালকা হল কঙ্গনা রানাউতের। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্ট অভিনেত্রীর বাংলো ভাঙার নোটিস খারিজ করে দিয়েছে।এরই পাশাপাশি কঙ্গনাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও জারি করেছে আদালত। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সেপ্টেম্বর মাসে বৃহণ্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি) এই নোটিস জারি করেছিল।

Advertisement

তাঁর পালি হিলের বাংলো ভাঙা ‘বেআইনি’ বলে এই নোটিসের বিরুদ্ধে কঙ্গনা হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায় ভাবে শিবসেনা বিএমসি-কে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।

বিচারপতি এস জে কাঠাওয়ালা এবং বিচারপতি আর আই চাগলা-র ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কঙ্গনার অফিসে বিএমসি-র ভাঙচুর চালানোর পিছনে যথাযথ কোনও কারণ ছিল না, বরং অসৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে তা করা হয়। এর সঙ্গেই এক জন ভ্যালুয়ার নিয়োগ করে ভাঙচুরের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, কঙ্গনাকেও তাঁর কথা এবং কাজের ব্যাপারে সংযম রাখার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিতিপ্রিয়া টিপস দিয়েছে, বিয়ের দিন হাল্কা মেকআপ কোরো: গৌরব

কঙ্গনা তাঁর বাংলো ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএমসি-র কাছে থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। ২০২১-এর মার্চ মাসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী অভিনেত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিএমসি-র অভিযোগ ছিল, কঙ্গনার বাংলোর একটি অংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি এ-ও দাবি করা হয় যে, কঙ্গনা রান্নাঘর তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গায় শৌচাগার এবং শৌচাগারের জন্য নির্ধারিত জায়গায় অফিস তৈরি করেন। সেই সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে হাইকোর্ট জানায়, বাংলোর একাধিক ছবি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং সেগুলি থেকে কোনও রকম বেআইনি নির্মাণের প্রমাণ মেলেনি।

আরও পড়ুন: হোটেলে আত্মঘাতী হবু নায়িকা, বানচাল হয়ে যায় অজয় দেবগণের দ্বিতীয় ছবি

হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত কঙ্গনা টুইটে লেখেন, ‘এক জন ব্যক্তি যখন সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং জয়ী হয় তখন শুধুমাত্র তার একার জয় হয় না, গণতন্ত্রের জয় হয়। যাঁরা আমাকে সাহস জুগিয়েছেন তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। যাঁরা আমার স্বপ্ন ভাঙতে দেখে হেসেছেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ। আপনারা ভিলেন হয়েছেন বলেই আমি হিরো হতে পেরেছি।’

কঙ্গনা মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করার পরেই শিবসেনার সঙ্গে তাঁর বিতণ্ডার সূত্রপাত। এর পর কঙ্গনার বাংলো ভাঙচুর, মুম্বই ছেড়ে তাঁর হিমাচল প্রদেশের বাড়িতে যাওয়া, ফের ফিরে আসা, এ সব কিছু নিয়ে উত্তাল ছিল মায়ানগরী। এমনকি, তাঁর মন্তব্যের জন্য মুম্বইকরদের একাংশের রোষানলে পড়েন অভিনেত্রী। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশে পর শেষ হাসি আপাতত কঙ্গনাই হাসলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন