‘পৃথিবীতে সকলকে খুশি রাখা যায় না’

নতুনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় দিশা পাটনি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যতই চর্চা চলুক, কেরিয়ার নিয়েই সচেতন অভিনেত্রীতাঁর বরং স্বপ্ন ছিল এয়ারফোর্স পাইলট হওয়ার। তার জন্য বি-টেক কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৪১
Share:

দিশা পাটনি

সংবাদ মাধ্যমে দিশা পাটনির প্রতিভা সম্পর্কে যত না কথা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি কথা হয় তাঁর আর টাইগার শ্রফের সম্পর্ক নিয়ে। সম্প্রতি ‘বাগী টু’ মুক্তি পেয়েছে। দিশা ও টাইগার একসঙ্গে এই প্রথম কোনও ছবি করলেন। ছবির বক্স অফিস ফলাফলও ভাল। তবে দিশা নাকি অভিনয়ে আসতেই চাননি প্রথমে!

Advertisement

তাঁর বরং স্বপ্ন ছিল এয়ারফোর্স পাইলট হওয়ার। তার জন্য বি-টেক কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন। ‘‘মুম্বইয়ে আসি একটা বিউটি কম্পিটিশন এর মাধ্যমে। জিতেও যাই। একটা মডেলিং এজেন্সির সঙ্গে কাজ শুরু করি। রোজগারও ভাল হচ্ছিল। তার পর মুম্বইয়ে শিফ্‌ট করে যাই। ফিল্মস জাস্ট হ্যাপেন্ড টু মি,’’ কেরিয়ারের শুরুর দিকের কথা বলছিলেন দিশা। তামিল ফিল্ম ‘লোফার’ দিয়ে শুরু করেছিলেন। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দিশাকে আমরা দেখি, নীরজ পাণ্ডের ছবি ‘এম এস ধোনি’তে। তার পর তিনি জ্যাকি চানের সঙ্গে ‘কুংফু যোগা’য় অভিনয় করেন। খুব শিগগিরই দিশা দক্ষিণী ছবি ‘সংঘমিত্রা’র কাজ শুরু করবেন। শ্রুতি হাসনের বদলে সে ছবিতে কাজ করছেন তিনি। কৃতী শ্যাননকে সরিয়ে সই করেছেন মোহিত সুরির পরের ছবিতেও।

ফিল্মজীবনের আগের কথা বলছিলেন দিশা, ‘‘আমি উত্তরাখণ্ডের মেয়ে। বাবা পুলিশে ছিলেন, তাই আমি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় একেবারে টমবয় ছিলাম। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত সেই স্বভাব থেকে গিয়েছিল!’’ জানালেন, এক দিদি আর ছোট ভাই আছে তাঁর। স্কুলে বেশ চুপচাপ থাকতেন বলে তেমন কোনও বন্ধু ছিল না। দিদিই বেস্ট ফ্রেন্ড। ভাই আর দিদির সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে, ঘুড়ি উড়িয়ে কেটেছে দিশার শৈশব-কৈশোর।

Advertisement

আরও পড়ুন: সফল জুটিই জীবনের গুপ্তধন

তবে তাঁর সঙ্গে টাইগারের সম্পর্ক নিয়ে সব সময় চর্চা। চাপ অনুভব করেন? স্পষ্ট উত্তর দিশার, ‘‘আমার আর টাইগারের বন্ডিং ভীষণ ভাল। আমি ওর থেকে অনেক শিখি। রোজ সকাল সকাল উঠি, ওর সঙ্গে জিমে যাওয়ার জন্য! আমাদের রিলেশনশিপ নিয়ে অনেক কথাই হয়। কিন্তু এইটুকুই বলব, আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। মুম্বইয়ে ও-ই আমার বন্ধু। তাই ওর সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার করতে গেলেই তার ছবি কাগজে ছাপা হয় আর তার পর গুজব শুরু হয়ে যায়! কাল টাইগারের বদলে অন্য কারও সঙ্গে দেখলে বলবে, টাইগারকে ছেড়ে এখন অন্য একজনকে ধরেছে!’’

মাঝে মাঝেই ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হন দিশা। কখনও স্কুলড্রেস পরা ‘থ্রো ব্যাক’ ছবির জন্য, কখনও বিকিনি পরার জন্য। এই প্রসঙ্গে দিশার মত, ‘‘পৃথিবীতে সকলকে খুশি রাখা যায় না। ইনস্টাগ্রামই আমার জীবন নয়। আমি ওখানে আছি নিছক মজা পাওয়ার জন্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন