দরদর করে ঘামছেন। নো মেক আপ লুক। সেই অবস্থায় স্পেনসারে গতকাল বাজার করতে গিয়ে তিনি মবড! কেউ বলছেন, ‘‘কী ভাল লাগল জেনে, তুমি সিরিয়াল করছ’’, কেউ বলছেন, ‘‘এ বার সিরিয়াল দেখব শুধু তোমার জন্য।’’ মেসেঞ্জারও ভর্তি। ঠিক যেমন হোয়াটস্অ্যাপ। প্রোমো শ্যুটের এক দিনের মাথায় এতটা সাড়া পাবেন ভাবেননি ‘এক আকাশের নীচে’র পাখি।
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিয়ের পর মেগাতেই কেন কামব্যাক?
‘‘খুঁজছিলাম নিয়মিত কাজ। চ্যানেল ফোন করে লীনাদি-শৈবালদার প্রোডাকশনের কথা বলায় ইচ্ছে হয় কাজ করতে। লীনাদি বরাবরই মেয়েদের মন ছুঁয়ে যেতে জানেন। এ বারের গল্পটাও মেয়েদের ভাবাবে, তাই এক কথায় রাজি
হয়ে যাই।’’
মানুষের উৎসাহে খুশি হলেও ভিতরে ভিতরে খানিক চিন্তায় আছেন ‘স্বপ্ননীল’-এর জিনাত। বললেন, ‘‘ পতাকা শুধু উড়েছে। এর পর তো আমার দায়িত্ব। লোকে যাতে রোজ সাড়ে দশটায় জি বাংলা খুলে বসেন। সে রকম ভাবে কাজ করতে হবে।’’
হারিয়ে যাওয়া মেয়ের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার গল্প বলবে এই ধারাবাহিক। ‘‘আমার ঠাকুমাকে দেখেছিলাম। দাদামশায়ের দাপটের তলায় হারিয়ে গিয়েছিল তার সেলাইয়ের গুণ। স্কুলের অনুষ্ঠানের গানের গলা। সবাই ভুলতে বসেছিল তার নাম। বউমা, মাসি, জেঠিমা, কাকিমা… এ রকম এক সাধারণ মেয়ের নিজের মর্যাদায় ফিরে আসার কাহিনি ‘অন্দরমহল’ ’’ বললেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
‘অন্দরমহল’ যেমন চাপা কান্নার গল্প, তেমনই আবার যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসা শক্তির কাহিনি। এর জন্য প্রয়োজন ছিল এক পরিণত মুখের, অভিজ্ঞতার। যার অভিনয়ে সব ধরনের মুহূর্তকে আলাদা করে চেনা যায়। সেই কথা মাথায় রেখে চ্যানেল এবং প্রোডাকশন কনীনিকাকে নির্বাচন করেছে।
শুধু রোজগারের জন্য কিন্তু মেগা করছেন না কনীনিকা। ‘অন্দরমহল’-এর পরমেশ্বরী চরিত্র তার অভিনয়ের খিদেও অনেকটা মিটিয়ে দেবে বলে তাঁর বিশ্বাস। দর্শককে ‘এন্টারটেন’ করার আগে তিনি নিজেই নিজেকে ‘এন্টারটেন’ করছেন বলে জানালেন ‘রাত ভোর বৃষ্টি’-র বৃষ্টি। তাঁর ‘অন্দরমহল’-এ এ বার হয়তো ঝড়ের সংকেত।