মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য পাইলট হয়েছেন। একা বিমান ওড়ানোর অনুমতি পেয়েছেন। মুকুল দেবের আনন্দ দেখে কে? বিমান নিয়ে উত্তরের রায়বেরিলি থেকে দক্ষিণ উপকূলে উড়ে যাবেন তিনি। সেই সময়েই ঘটেছিল ভয়ঙ্কর ঘটনা। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন সেই সময়। সেই অভিজ্ঞতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গী ছিল। স্বপ্নে নাকি তাড়া করত তাঁকে! বছর পাঁচেক আগের এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা।
তিনি সবিস্তার বর্ণনাও করেছেন সেই ঘটনার। তাঁর কথায়, “গন্তব্যে যাওয়ার পথে জরুরি অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। সে এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা। ত্রিবান্দ্রমে পৌঁছোনোর আগেই প্রবল ঝড়বৃষ্টি। আবহাওয়া এত খারাপ হয়ে যায় যে গন্তব্যের আগেই কাছাকাছি এক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হয়েছিল। এ দিকে আমি আকাশে উড়তে জানি, অবতরণ করতে জানি না!”
নতুন পাইলট সে দিন প্রাণ হাতে করে অনেক কষ্টে মাটি ছুঁতে পেরেছিলেন। মনে মনে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রাণ বাঁচানোর জন্য। মুকুলের সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে তাঁর মৃত্যুর পরে ভাইরাল। তাঁর বক্তব্য পড়তে পড়তেই অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, তখন থেকেই নিয়তি টানতে শুরু করেছিল তাঁকে?
বিন্দু দারা সিংহ, মুগ্ধা গডসে-সহ বলিউডের একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য সে দিকেই ইঙ্গিত করেছে। বলিউডের একাংশের দাবি, অনেক দিন ধরেই একা হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। অবসাদ কমাতে মদ্যপানের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। সমাজমাধ্যমেও মনখারাপের বার্তা ছিল তাঁর। তাঁর শেষ পোস্টে লেখা ছিল, “অন্ধকার পূর্বাভাস জেনে যদি তোমার মস্তিষ্কে বিস্ফোরণ হয়, তা হলে চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।”