jail police station bollywood

হাজত বাস শাহরুখের! অনেক বলিতারকার জেলে যাওয়ার কথাই কিন্তু অজানা...

ঝাঁ-চকচকে জীবন তাঁদের। রাংতায় মোড়া প্রতিটি ধাপ। কিন্তু এই আপাতত চমক লাগা জীবনেও দুঃসময় এসেছে বারংবার। আসুন দেখা নেওয়া যাক এমন কয়েকজন বলিউড তারকাকে যাঁরা জীবনের কোনও না কোনও সময় জেলে কাটিয়েছেন বা পৌঁছে গিয়েছেন লকআপের দোরগোড়ায়। শুধু সলমন বা সঞ্জুবাবা নন, লিস্টে কিন্তু রয়েছেন শাহরুখ, সইফও, অক্ষয়ও।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ১৯:৫৮
Share:
০১ ১৬

ঝাঁ-চকচকে জীবন তাঁদের। রাংতায় মোড়া প্রতিটি ধাপ। কিন্তু এই আপাতত চমক লাগা জীবনেও দুঃসময় এসেছে বারংবার। আসুন দেখা নেওয়া যাক এমন কয়েকজন বলিউড তারকাকে যাঁরা জীবনের কোনও না কোনও সময় জেলে কাটিয়েছেন বা পৌঁছে গিয়েছেন লকআপের দোরগোড়ায়। শুধু সলমন বা সঞ্জুবাবা নন, লিস্টে কিন্তু রয়েছেন শাহরুখ, সইফও, অক্ষয়ও। গ্রাফিক: অসীম রায়চৌধুরী

০২ ১৬

ফারদিন খান : একসময় ফারদিনের খানের জনপ্রিয়তা এক সময় ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু হঠাৎ ২০০১ নাগাদ তাঁর জীবনে ঘনিয়ে আসে এক চরম অন্ধকার সময়। এক ড্রাগ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুকিয়ে কোকেন কিনতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি। তাঁর পাঁচ দিনের মতো জেল হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে এক গ্রামের মতো কোকেন উদ্ধার হয়েছিল।

Advertisement
০৩ ১৬

আইন অনুযায়ী এক গ্রাম কোকেন রাখলে নয় ছ’মাস জেলে থাকতে হয় অথবা নেশামুক্তি কেন্দ্রে যেতে হয়। ফারদিন বেছেছিলেন দ্বিতীয় অপশনটিকেই। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি রিহ্যাবে কাটিয়েছিলেন বেশ কিছু মাস। যদিও তাঁর জেল যাওয়া কেরিয়ারে বেশ প্রভাব ফেলেছিল।

০৪ ১৬

শাইনি আহুজা- ‘ও লমহে’, ‘ভুলভুলাইয়া’ সহ একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করা শাইনি আহুজা এখন বিস্মৃতির পথে। তাঁর কারণ তিনি নিজেই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বাড়ির কাজের লোককে ধর্ষণ করেছেন তিনি। বিচারে তাঁর সাত বছর জেল হয়েছিল।

০৫ ১৬

যদিও পরবর্তীকালে জামিনে তিনি মুক্তি পান। কিন্তু সে সময় শাইনি আহুজার কীর্তি সে সময় সিনে মহল তোলপাড় করেছিল। বেশিরভাগ সেলেব যখন নিন্দায় সরব হয়েছিলেন তখন শাইনির স্ত্রী এবং অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি শাইনির পাশে দাঁড়ান। আরশাদ বলেছিলেন, “কত খুনি, সন্ত্রাসবাদী সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের কোনও শাস্তি হয় না। অথচ শাইনির বেলাতে সাত বছর জেল!” আরশাদের এই বক্তব্য বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি কএছিল সে সময়।

০৬ ১৬

জন আব্রাহাম: বাইক চালাতে বরাবরই ভালবাসেন জন আব্রাহাম। কিন্তু এই বাইক রাইডই যে তাঁর জীবনে কাল হয়ে উঠবে তা কি তিনি কোনওদিনও ভেবেছিলেন?কিন্তু হয়েছিল ঠিক এমনটাই। এক রাতে বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন জন। স্পিড ছিল বেশ খানিক বেশি। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জনের বাইক ধাক্কা মারে এক সাইকেল আরোহীকে। গুরুতর জখম হন তিনি।

০৭ ১৬

কিন্তু জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাননি। নিজেই সেই ব্যক্তিকে নিয়ে হাসপাতালে যান এবং পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেন। এর পরেই জনের ১৫ দিনের জেল হয়। কিন্তু কর্তব্য থেকে না পালনোর জন্য মানবিকতার খাতিরে তিনি জামিন পেয়ে যান।

০৮ ১৬

মনিকা বেদী: ৯০-এর দশকে তিনি ছিলেন মুভি-ফ্রিকদের হার্টথ্রব। কিন্তু তাঁকেও জীবনের তিন বছর কাটাতে হয়েছিল জেলে। ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ আবু সালেমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পর্তুগালের বিমানবন্দরে আবু সালেমের সঙ্গে নকল পাসপোর্টের নিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি। বিচারে তাঁর তিন বছর জেল হয়।

০৯ ১৬

পর্তুগালের জেলে তিন বছর কাটানোর পর ভারতে ফিরে আসেন তিনি। এখানেও তাঁর জেল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই অপরাধে দু’দেশেই যাতে তাঁকে জেল খাটতে না হয় সে বিষয়ে আবেদন জানান তিনি। তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়। আবারও কামব্যাক করেন মনিকা। বিগ-বসের সেকন্ড সিজনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

১০ ১৬

রাজপাল যাদব: সাতেপাঁচে না থাকা এই মানুষটিকেও টানতে হয়েছে জেলের ঘানি। ‘আতা পাতা লাপাতা’ বলে একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন রাজপাল। সে জন্য এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে বেশ কিছু টাকা ধারও করেছিলেন তিনি।

১১ ১৬

এ দিকে বক্স অফিসে সেই ছবি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। আর রাজপালও সময়মতো সেই টাকা দিতেও পারেননি। এর পরেই রাজপালের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন সেই প্রযোজক। তিন মাস তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। দিতে হয় জরিমানাও।

১২ ১৬

সইফ আলি খান: ছোটে নবাবকেও ঢুকতে হয়েছিল লকআপে। করিনা কপূর এবং মালাইকাকে নিয়ে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক ব্যক্তিকে সজোরে চড় মারেন তিনি। চড় এতটাই জোরে ছিল যে, সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এই অপরাধে লকআপে যেতে হয়েছিল তাঁকে। পরে যদিও ছাড়া পেয়ে যান তিনি।

১৩ ১৬

অক্ষয় কুমার : ২০০৯-এ একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আচমকাই অক্ষয় টুইঙ্কলের কাছে এস তাঁর প্যান্ট আনজিপড করার মতো অদ্ভুত দাবি জানান। লোকসমক্ষে এ রকম ব্যবহার করার জন্য তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি।

১৪ ১৬

সুরজ পাঞ্চোলি বছর কয়েক আগে ‘চিনি কম’ খ্যাত জিয়া খানের আত্মহত্যার কথা মনে আছে? জিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর একটি সুইসাইড নোট প্রকাশ পায়। সে খানেই জানা যায়, জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আদিত্য পাঞ্চোলি পুত্র সুরজের।এর পরেই সুরজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন জিয়ার মা রাবিয়া। জেল যেতে হয় অভিনেতাকে।

১৫ ১৬

শাহরুখ খান চমকে গেলেন? হ্যাঁ, শাহরুখ খানকেও যেতে হয়েছিল লকআপের দোরগোড়ায়। তখন কেরিয়ারের একেবারের শুরুর দিক। এক ম্যাগাজিনের এডিটর শাহরুখের নামে একটি গসিপ ছেপে দেন যার বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। ক্ষুব্ধ শাহরুখ সেই সম্পাদককে ফোন করে খানিক রেগে গিয়েই বাজে ব্যবহার করে ফেলেন। ব্যস এর পরেই টুইস্ট। (প্রতীকী ছবি)

১৬ ১৬

এক ফিল্মের সেটে ছিলেন শাহরুখ। সেখানে পুলিশ আসে। শাহরুখ ভেবেছিলেন পুলিশ বুঝি তাঁর ফ্যান। দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু এ কী! সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। জেলের ওই ছোট ছোট ঘর দেখে তাঁর অবস্থা তো তখন খুব খারাপ। যদিও কিছু সময় পরেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। অতএব শুধু সঞ্জয় দত্ত বা সলমন খানই নন, থানায় ঘুরে লকআপের দোরগোড়ায় যেতে হয়েছে অনেক বলিস্টারকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement