‘আমি আগে কখনও ফুলুরি খাইনি! উফ, কী ভাল...’

দেড় মাস ভোট-প্রচারের ধকলে কেমন আছেন দুই নায়িকা? খোঁজ নিল আনন্দ প্লাস

Advertisement

ঋজু বসু

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০০:১৩
Share:

মিমি

প্রথম চুমু নয় ফুলুরি! ফুলুরি আস্বাদের প্রথম অভিজ্ঞতার কথা বলতেই শিহরিত মিমি চক্রবর্তী। বরাবরই সগর্ব বলেন, “আমি ফিটনেস ফ্রিক! ভাজা-পোড়া কিছু খাই না!’’ এই ভোট-প্রচার পর্ব সেই মিমিকেই প্রথম ফুলুরির অভিজ্ঞতা দিয়েছে।

Advertisement

দিন কুড়ি আগে সোনারপুরে মিছিলে ঘুরতে ঘুরতে রাস্তার ধারে ফুলুরি ভাজতে দেখে নায়িকার সংযমের বাঁধ ভাঙে। সেই ফুলুরির স্বাদে এখনও বিদ্ধ মিমি। ‘‘আমি আগে কখনও ফুলুরি খাইনি! উফ, কী ভাল... আমায় ওঁর কাছে আবার যেতে হবে,’’ বলেছেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী।

নুসরত জাহান আবার মাছের ভক্ত। ভাল খাবার পেলে নিজেকে বঞ্চিত করেন না। তিনি বলছেন, ‘‘দলের আর পাঁচ জন যা খেত, আমিও তাই খেতাম! বসিরহাটে ভোটের প্রার্থী হয়ে আশ মিটিয়ে ভেড়ির মাছ, চিংড়ি খেয়ে নিয়েছি।’’

Advertisement

ওজনও অল্প বেড়েছে নুসরতের। আর রং পুড়েছে। ‘‘ছাতা-টুপি-সানগ্লাস এড়িয়েই চলতাম। কয়েকটা দিন আর পারিনি।’’ নায়িকাকে ছাপিয়ে পাশের বাড়ির মেয়েটি হয়ে ওঠা মিমির প্রেশার নেমে গিয়েছে। জ্বরজারিতেও ভুগেছেন। তবে আপাতত ডাক্তারবাবুকে বাদ দিয়ে ওআরএসেই প্রচারপর্ব সামাল দিয়েছেন।

নায়িকাকে ঘিরে আকর্ষণের বাইরেও রাজ্যের সাধারণ মানুষের আন্তরিকতার স্বাদে আপাতত বুঁদ দুজনেই। হাড়োয়ায় একটা সভার আগে গলা একদম বসে গিয়েছিল নুসরতের। ‘‘গ্রামের রাস্তায় আর থাকতে না পেরে চেনাশোনা ছাড়াই এক জায়গায় চা খেতে চাইলাম। ওরা যে কী আদর করে ঘরে ডেকে চা করে খাওয়ালেন!’’ আরোপিত ভদ্রতা বা ভক্তদের পাগলামি নয়, নিখাদ স্বতঃস্ফূর্ততা। নুসরত বলছেন, ‘‘গাঁ-গঞ্জে ঘুরে এত শো করেও সাধারণ লোকের এই ভালবাসার মনটা আমি ভোটে দাঁড়িয়েই চিনেছি।’’

মিমিরও প্রাপ্তি অচেনা, অজানা স্নেহের স্পর্শ। যাঁরা বলেছেন, ‘আমরা জানি তুমি ভাল কাজ করবে।’ মিমির কথায়, ‘‘যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে মিটিংয়ে দিদি নিজে ডেকে বলেন, খুব ভাল বলেছ!’’ রোজ দশ ঘণ্টা প্রচারের রুটিন শেষে অবশ্য তাঁর জিম মিস করেছেন মিমি। ‘‘আমার বড় ছেলে আর ছোট ছেলে, ল্যাব্রাডর চিকু, সাইবেরিয়ান হাস্কি ম্যাক্সকেও এই দেড় মাস বড্ড কম আদর করেছি,’’ বিষণ্ণ বাংলা ছবির গ্ল্যামারাস নায়িকা।

ভোটের প্রাক্কালে নুসরতের দিদা আবার হাসপাতালের আইসিইউ-এ ভর্তি! উৎকণ্ঠা কাজ করছে। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দু’জনেই। ঘূর্ণিঝড় ফণীর জন্য মিমির এ বার জগন্নাথদর্শন বাতিল হয়েছিল। শিগগরিই পুরী যেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ভোটের রেজ়াল্টের আগে কি? মিমি তা ভাঙছেন না।

জীবনের নয়া উড়ানের অপেক্ষায় দুই নায়িকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement