Mahesh Bhatt

তান্ত্রিকের কথা শুনে মানুষের মাংস খাইয়েছিলেন এক ব্যক্তিকে! তার পরে কী হয়েছিল মহেশ ভট্টের সঙ্গে?

বন্ধু অরুণ দেসাই-এর সঙ্গে কাজ খুঁজছিলেন। অবশেষে এক বিনিয়োগকারীর খোঁজ দেন অরুণ। কিন্তু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে দেখা করার আগে মহেশ প্রথমে এক সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করতে বারাণসীতে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫২
Share:

কী হয়েছিল মহেশ ভট্টের সঙ্গে? ছবি: সংগৃহীত।

তান্ত্রিকের পরামর্শ শুনে এক বিনিয়োগকারীকে মানুষের মাংস খাইয়েছিলেন মহেশ ভট্ট। কর্মজীবনে উন্নতি করার জন্য নাকি এই কাজ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা জানান বলিউড পরিচালক। মহেশের এই স্বীকারোক্তি শুনে অবাক নেটাগরিক।

Advertisement

তখন মহেশের বয়স ২০-র ঘরে। বন্ধু অরুণ দেসাই-এর সঙ্গে কাজ খুঁজছিলেন। অবশেষে এক বিনিয়োগকারীর খোঁজ দেন অরুণ। সেই বিনিয়োগকারী ছিলেন বিহারের গয়ার বাসিন্দা। কিন্তু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে দেখা করার আগে মহেশ প্রথমে এক সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করতে বারাণসীতে যান। তিনি বলেছেন, “আমরা গিয়ে দেখি অসংখ্য দরিদ্র মানুষ সেই সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উনি আসলে একজন তান্ত্রিক ছিলেন। বয়স কম। হাতে মদের বোতল নিয়ে নাচছিলেন।”

মহেশ সেই ভাবে এই সব রীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। সেটা অনুমান করে ফেলেছিলেন ওই তান্ত্রিক। পরের দিন আবার মহেশ ও তাঁর বন্ধুকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তার পরে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি পুরিয়া। মহেশ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমাদের হাতে একটি পুরিয়া দিয়ে বলেন, ‘এর মধ্যে মানুষের মাংস রয়েছে। ঘাটের দেহ থেকে এটা আনা হয়েছে। এটা তোমাদের বিনিয়োগকারীকে খাইয়ে দিও। উনি তোমাদের টাকা দিয়ে দেবেন’।”

Advertisement

এই শুনে মহেশ ভেবেছিলেন, সাফল্যের চাবিকাঠি তিনি পেয়ে গিয়েছেন। এর পরে তাঁরা গয়া যান। পরিচালক বলেন, “এই বিনিয়োগকারী একজন জমিদার ছিলেন। মশারির ওপারে বসতেন। চারপাশে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীরা দাঁড়িয়ে থাকতেন।” তাই সেই মানুষের মাংসের ছোট টুকরো কী ভাবে খাওয়াবেন, বুঝতে পারছিলেন না মহেশ। অবশেষে একটি পানের মধ্যে মাংসের টুকরো ভরে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা।

যেমন ভাবা, তেমন কাজ! সেই জমিদারকে পানটি খাইয়েছিলেন মহেশ ও অরুণ। জমিদার পান চিবোচ্ছিলেন, আর অন্য দিকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন মহেশ ও তাঁর বন্ধু। কিন্তু এই সব ক্রিয়াকর্ম শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। কারণ কয়েক মাস পরে ওই বিনিয়োগকারী টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement