মৈথিলী ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারের সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছেন গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। ‘সা রে গা মা পা লিট্ল্ চ্যাম্পস’ রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে শুরু। তার পর একাধিক রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে মৈথিলীকে। তবে তাঁকে একবার শুনতে হয়েছিল তিনি নাকি ‘বোকা বিহারি’। বদলাতে হয়েছিল ১৭টা বাড়ি।
এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে যাঁর জনপ্রিয়তা রকেটের গতিতে বাড়ছে, তিনি মৈথিলী ঠাকুর। ভোটে জেতার পর সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যা হয়েছে ১৪০ লক্ষ। নির্বাচনে জিতলেও প্রচারের সময় একাধিক সাক্ষাৎকারে তাঁর করা মন্তব্যের কারণে কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের হাসি হেসেছেন তিনি।
যদিও একটা সময় ছিল যখন মৈথিলীর সামনে বন্ধ হয়ে যায় একের পর এক দরজা। একের পর এক প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে হয়েছে। মৈথিলী জানান, যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তিনি পড়তেন, সেখানকার সহপাঠীরা তাঁকে ‘বোকা বিহারি’ নামে ডাকত। তাই স্কুলজীবনে বন্ধু তৈরি করতে পারেননি। একা একাই থাকতেন। প্রথম বেঞ্চে বসেও যেন একা। মৈথিলী বলেন, ‘‘‘সা রে গা মা পা’ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় অতিরিক্তি শাস্ত্রীয়সঙ্গীত গাইতাম বলে। একই ঘটনা ঘটে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সময়েও।’’
এখানেই শেষ নেয়। একটা সময় অর্থনৈতিক অবস্থা এমন ছিল যে এক কামরার ঘরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। মৈথিলীর মা ভারতী ঠাকুর বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থা এমন ছিল, যে এর থেকে বড় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। আর সবক’টা বাড়িই অন্যের ঘরের সঙ্গে লাগোয়া হওয়ায় ছেলেমেয়ে ও আমার স্বামীর রেওয়াজ়ের আওয়াজে প্রতিবেশীদের অসুবিধে হত। একের পর এক বাড়ি পাল্টাতে হয়েছে সেই সময়। অবশেষে ২০১৭ সালে প্রথম দিল্লিতে বাড়ি কিনি। তার পর ২০২০ সালে আরও বড় ফ্ল্যাট কিনি।’’ এর পর থেকেই জীবন বদলে যায় তাঁদের। ছোটবেলায় রিয়্যালিটির মঞ্চে গান গাইলেও পরিণত হতেই মৈথিলী ঘোষণা করেন, ভজন ছাড়া আর কিছুই গাইবেন না।