অনুরাগ কাশ্যপ। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
দৃশ্য বিতর্কের মধ্যেই এবার নেটিজেনদের তোপের মুখে ‘মনমরজিয়া’ পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। আম্বালার সব প্রেক্ষাগৃহে ‘মনমরজিয়া’র প্রদর্শন বন্ধের আবেদন জানিয়ে বিশ্বব্যাপী শিখদের এব্যাপারে সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছে আম্বালা শিখ সংগঠন। অন্য এক শিখ সংগঠনের জম্মু শাখা মঙ্গলবার আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে বিহিত চেয়েছে। কেন শিখ ভাবাবেগে আঘাত করে এমন দৃশ্য চিত্রায়িত করেছেন পরিচালক কাশ্যপ, তা জানতে চেয়েছে ওই সংগঠন। তার মধ্যেই বিতর্কিত দুটি দৃশ্যে কাঁচি চালানো প্রসঙ্গে টুইট যুদ্ধে সামিল নেটিজেন, অনুরাগ কাশ্যপ এবং তাপসী পান্নু।
যশবীর সিং নামে একজনের মন্তব্য, ধন্যবাদ অনুরাগ কাশ্যপ এবং সেন্সর বোর্ডকে। দায়িত্ব নিয়ে দৃশ্যগুলি তারা মুছে দিয়েছে। উড়তা পঞ্জাবে যেখানে অনুরাগ পঞ্জাবের ড্রাগ সমস্যা দূর করতে চেয়েছেন, তখন একাধিক দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। কিন্তু ‘মনমরজিয়া’-তে কাঁচি চালানোর দরকার ছিল না, সেখানেও সেন্সরশিপ করা হয়েছে।
এব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও যে দৃশ্যগুলি নিয়ে আপত্তি শিখ সংগঠনের, সে ব্যাপারে টুইটারে সরব হয়েছেন ছবির পরিচালক। তাঁর ব্যাঙ্গাত্মক টুইট—আমার টুইট সরিয়ে নেওয়ার আগে অভিনন্দন। পঞ্জাবের সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে এবং শিখ যুবকেরা নিরাপদ। আমরা আবার লা লা ল্যান্ডে ফিরে গেছি। আগামী দিনে যখনই কোনও ছবি আপনাদের হুমকির কারণ হবে সরাসরি এরোজ ফিল্মসের কিশোর লুল্লার সঙ্গে কথা বলবেন। এক মিনিটেই উনি সমাধান করে দেবেন।
যদিও কিশোর লুল্লার ফোন নম্বর সোশাল সাইটে পোস্ট করার মধ্যে একপ্রস্থ বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে অনুরাগ কাশ্যপ এবং টুইটার অপারেশন টিম। হোয়াটজ্অ্যাপে হওয়া সেই যুদ্ধের সারাংশও টুইটারে পোস্ট করেছেন কাশ্যপ।
অনুরাগ কাশ্যপের টুইট-
একধাপ এগিয়ে ছবির রুম্মি তথা তাপসী পান্নুর টুইট; আমি নিশ্চিত দৃশ্যগুলি সেন্সরশিপের কোপে পড়লেই সব শিখ যুবক ধূমপান করা ছেড়ে দেবে এবং কোনও মহিলা গুরুদ্বারে বিয়ে করতে গিয়ে পরপুরুষকে নিয়ে ভাববে না। এটা সত্যিকারে ওয়াহেগুরুর কাছে গর্ব করার বিষয়। এবং নিশ্চিত করবে আমার ধর্ম সবচেয়ে পবিত্র, শান্তিপ্রিয়।
ছবির একটা দৃশ্যে ধূমপান করার আগে পাগড়ি খুলে রাখছেন চরিত্র রব্বি (অভিষেক বচ্চন)। যেহেতু শিখ ধর্মে ধূমপান নিষিদ্ধ তাই এই দৃশ্যে যারপরনাই আপত্তি শিখ সংগঠনের। পাশাপাশি গুরুদ্বারে বিয়ে করতে যাওয়ার সময় রুম্মির নিজের প্রেমিকের কথা মনে পড়ার মধ্যেও আপত্তি সংগঠনগুলি। যদিও এই দৃশ্যগুলি পঞ্জাবে ছবি পরিবেশনার সময় বাদ দিয়েছে পরিবেশক সংস্থা। তাতেও থামছে না বাদানুবাদ, মন্তব্য সিনে সমালোচকদের। এনিয়ে এখন টুইটার যুদ্ধে সরব নেটিজেন ও ছবির কলাকুশলীরা।