অজানা গ্যালাক্সিতে উড়ান মাটির সুপারহিরোর

থেমে গেল স্ট্যান লি-র মার্ভেলাস যাত্রা। ১৯২২-২০১৮দৃষ্টিগত কিছু সমস্যাও ছিল। লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি থেকে সোমবারই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মারা যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২২
Share:

স্ট্যান লি

স্পাইডারম্যান, এক্স মেন, অ্যাভেঞ্জারদের স্রষ্টা তিনি। লক্ষ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর চোখে স্বপ্নের গুঁড়ো মাখিয়ে দেওয়ার স্বপনবুড়ো। মার্ভেল কমিক্সের প্রাক্তন প্রেসি়ডেন্ট ও প্রধান সম্পাদক। কল্পনার দুনিয়ায় রকেট ছোটানো জিনিয়াস। তিনি স্ট্যান লি। তাঁর নাম শোনেনি, এমন ছেলেমেয়ে এ দুনিয়ায় বিরল। কিন্তু তিনিই স্বপ্নের উড়ানগুলোকে খালি করে দিয়ে পাড়ি দিলেন মহাশূন্যে। ৯৫ বছর বয়সে মারা গেলেন স্ট্যান লি। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। দৃষ্টিগত কিছু সমস্যাও ছিল। লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি থেকে সোমবারই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মারা যান তিনি।

Advertisement

স্ট্যানের কেরিয়ার শুরু হয় ১৯৩৯ সালে, টাইমলি কমিক্সে। কিন্তু কেরিয়ারের মো়ড় ঘোরে ষাটের দশকে। তখন সুপারহিরোদের বাজার দখল করে রেখেছিল ডিসি কমিক্স। ডিসিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে দল বাঁধেন স্ট্যান, জ্যাক কার্বি এবং‌ স্টিভ ডিটকো। শুরু হয় মার্ভেল কমিক্সের দাপুটে দুনিয়া। ডিসির সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, গ্রিন ল্যান্টার্নদের পাল্টা দিতে শুরু করে মার্ভেলের ফ্যান্টাস্টিক ফোর, স্পাইডারম্যান, দ্য হাল্ক, আয়রন ম্যান, থর, এক্স মেন, ডেয়ারডেভিল... বাজার দখল করতে সময় লাগে না মার্ভেলের। অস্ত্র বলতে স্ট্যানের ফ্যাশনেবল এক-একটি সৃষ্টি!

কিন্তু কেন বলুন তো, স্ট্যানের সুপারহিরোরা এত সহজে পাঠক-দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা তৈরি করে ফেলল? কারণ, অতিমানব হওয়ার আগে আমাদের মতো তারাও মানুষ... তাদের দুর্বলতা আছে, ক্ষুদ্রতা আছে, যন্ত্রণা আছে, মনখারাপ আছে, প্রেম আছে। মার্ভেলের সিগনেচার চরিত্র যাকে বলা হয়, সেই স্পাইডারম্যানের কথা মনে করুন— ছিটগ্রস্ত এক চিত্রসাংবাদিক, প্রধান সম্পাদকের সঙ্গে যার রোজ ঝগ়ড়া হয় কিন্তু দিনের শেষে তার হাতেই উঠে আসে স্পাইডার পাওয়ার। আর রাতের আঁধারে সেই ছেলেটাই জবুথবু হয়ে ভাবে প্রেমিকা মেরি জেনের কথা। কে ভুলতে পারবে সেই সব আইকনিক সংলাপ যা বিভিন্ন সময়ে স্ট্যানের বিভিন্ন লেখায় পাওয়া গিয়েছে, ‘উইথ গ্রেট পাওয়ার কামস গ্রেট রেসপন্সিবিলিটি’ কিংবা ‘ইউ নো, আই গেস ওয়ান পার্সন ক্যান মেক আ ডিফারেন্স’?

Advertisement

এ রকমটা ভাবতে পারতেন বলেই দুনিয়াজো়ড়া বিভিন্ন বয়সি মানুষের কাছে স্ট্যানও সুপারহিরো। ‘কোল্ডপ্লে’র ক্রিস ইভান্স যেমন টুইট করেছেন, ‘আর একটা স্ট্যান লি কোনও দিন হবে না...’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের কথায়, ‘আমি যা কিছু, সব তোমার জন্য।’ হিউ জ্যাকম্যান লিখেছেন, ‘এক জন ক্রিয়েটিভ জিনিয়াসকে হারিয়ে ফেললাম। ওঁর সৃষ্টির একটা ছোট্ট অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি আমি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন