ছবিতে তাঁর অভিনয় নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে যতটা খুশি হয়েছেন ‘মেরি কম’ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ঠিক ততটাই তিনি হতাশ অন্য একটি কারণে।
মণিপুরের মানুষই এই ছবি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না বলিউডের এই অভিনেত্রী। যাঁর জীবন নিয়ে গল্প, সেই লড়াকু বক্সার মেরি কম নিজেও একই কারণে ব্যথিত। তাঁর সংগ্রামের সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, তাঁরা জানতেও পারলেন না, সেলুলয়েডে নিজেদের মেয়ের লড়াই কী ভাবে ধরা পড়েছে। গত চোদ্দো বছর ধরে হিন্দি ছবির প্রদর্শন বন্ধ রয়েছে মণিপুরে। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে জঙ্গি গোষ্ঠী রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট বলিউডের ছবি দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাদের দাবি ছিল, মণিপুরী মূল্যবোধের বিরোধী ছবি বানায় বলিউড। তাই সে সব ছবি তাদের রাজ্যে দেখানো চলবে না।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “খুব খারাপ লাগছে। মেরি নিজে সরকারি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু কিছুই করা গেল না।” তবু প্রিয়ঙ্কার আশা, সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘মেরি কম’ উত্তর-পূর্বের সঙ্গে বাকি ভারতের দূরত্ব ঘোচাতে সেতুর ভূমিকা নিতে পারে। কারণ এই ছবি উত্তর-পূর্বেরই একটা মেয়ের গল্প বলেছে।
আরও একটি কারণে ছবির সাফল্য নিয়ে খুশি হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। অনেক দিন পরে নারীকেন্দ্রিক কোনও ছবি নিয়ে এ ভাবে ফের আলোচনা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “শুনেছি নারীকেন্দ্রিক ছবির সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ‘মেরি কম।’ এই ধরনের ছবি যত হবে, তত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে।” প্রিয়ঙ্কার মতে, সমাজের এই পরিবর্তনটাও ধরার চেষ্টা করেছে ‘মেরি কম।’
তবে প্রথমে এই রকম নারী-কেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড। কারণ এই রকম ছবি ভারতে সব সময় সফল হয় না। কিন্তু মেরি স্বয়ং যখন প্রিয়ঙ্কাকে নিজের চরিত্রের জন্য বেছে নেন, তখন আর না করতে পারেননি তিনি।