ছবি: সংগৃহীত।
শিল্পী ও টেকনিশিয়ানের বকেয়া টাকা সময়মতো না মেটানোয় গত বছর বাংলা সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, শুটিং পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় সেই সমস্যার মোকাবিলা করা হয়। তবে বছর ঘুরলেও সমস্যা একই জায়গায় আটকে। একাধিক মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, মাসের পনেরো তারিখের মধ্যে শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে হবে। তবে কার্যক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন আর্টিস্ট ফোরামের নবনির্বাচিত কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিৎ, সোহম, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাখা তাঁদের একাধিক আবেদনের মধ্যে, শিল্পী ও টেকনিশিয়ানের বকেয়া টাকার সমস্যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সমস্যা মেটাতে আগামী শনিবার টেলিপাড়ার প্রযোজকদের সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং স্বরূপ বিশ্বাসের আবার এক দফার বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেও কি সুরাহা মিলবে?
বকেয়া বাকি রাখার অভিযোগ মূলত ছিল দুই প্রযোজকের বিরুদ্ধে, রানা সরকার এবং সুব্রত রায়। তাঁরা কেউ-ই এই মুহূর্তে ধারাবাহিক প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের ধারাবাহিক হয় অন্য প্রযোজনা সংস্থা, নয়তো চ্যানেল টেকওভার করেছে। তার পরেও শিল্পীদের পাওনা বাকি থাকার অর্থ, সমস্যা আরও গভীরে। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, বেশ কিছু বড় প্রযোজক সংস্থা নিয়মিত পাওনা বাকি রাখে। কিন্তু বড় নামের দাপটের কারণেই কোনও শিল্পী তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করছেন না। ফলে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে সেই নামগুলো।
আরও পড়ুন: ‘বরের থাপ্পড় খেতে খেতে এক দিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছিলাম’
পাশাপাশি আরও কিছু প্রস্তাব এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রেখেছে আর্টিস্ট ফোরাম। যেমন, ফোরামের অফিসের জায়গা বাড়ানো। নতুন একটি ভবন বানাতেও আগ্রহী ফোরাম। যেখানে শিল্পীদের জন্য কমিউনিটি হলের ব্যবস্থা থাকবে, ওয়র্কশপের আয়োজন হবে। সেই সংক্রান্ত বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।